নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। রাত ১০:১৮। ২ আগস্ট, ২০২৫।

বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল কারখানায় ছয় মাসে দুই হাজার কর্মসংস্থান

আগস্ট ২, ২০২৫ ৬:৪৬
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পুনরায় চালু করে মাত্র ছয় মাসে দুই হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। টেলি মার্কেটিং ও তৈরি পোশাকসহ নতুন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও ১০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার রাজশাহীর সপুরায় অবস্থিত ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানা চত্বরে “দুই হাজার কর্মসংস্থান উদযাপন; লক্ষ্য ১২ হাজার” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি কর্মসংস্থানের এই মাইলফলক উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) ম্যানেজার নুরুল আলমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বক্তব্যে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত মিল চালু করে এত অল্প সময়ে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি শুধু একটি কারখানা নয়, একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে যখন কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ গ্রাম থেকে শহরে ছুটছে, তখন প্রাণ-আরএফএল-এর মতো প্রতিষ্ঠান স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে—যা টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।”

উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন শ্রমিকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা।

আরও পড়ুনঃ  নাটোরে শিশু শহীদদের স্মরণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—আমরা চাই না কেউ আর কাজের জন্য ঢাকায় ছুটে যাক। বরং শিল্প নিয়ে আমরা পৌঁছাতে চাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রাজশাহীতে শ্রমঘন শিল্পে বিনিয়োগ করে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছি।”
তিনি বলেন, “এই কারখানাটি হবে একটি সম্পূর্ণ সাসটেইনেবল গ্রীন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। এখানে উৎপাদিত পণ্য শতভাগ রপ্তানিমুখী হবে। নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিশেষভাবে কাজ করছি। টেলি মার্কেটিংয়ের মতো খাতে বিপুল সংখ্যক নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”
২০২৪ সালের অক্টোবরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। পরের মাসেই বিটিএমসি থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পুরোনো, পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে কারখানাটিকে সচল করে তোলা হয়।
বর্তমানে কারখানাটির পরিত্যক্ত একমাত্র শেড মেরামত করে ব্যাগ, জুতা, লাগেজসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল।#

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।