অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। গত মৌসুমে তারা লিগ শিরোপা হারিয়েছে। মাঠের মতো মাঠের বাইরেও বাজে সময় যাচ্ছে ক্লাবটির। চুক্তিকৃত অর্থ না পাওয়ায় ক্লাবটির সাবেক রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে ও ফরাসি ট্রেইনার খলিল চাকরৌন ফিফায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কিংসের সাবেক ফরাসি ট্রেইনার খলিল এখন ওমানে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘গত পরশু ফিফায় অভিযোগ করেছি। তারা অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকার করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবে এমন চিঠিও দিয়েছে।’
খলিল তার পাওনা সম্পর্কে বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের কাছে মার্চ-মে মাসের বেতন, বোনাস (ফেডারেশন কাপ ও চ্যালেঞ্জ কাপ) ফি এবং বেতন বিলম্ব প্রদানের জরিমানা প্রাপ্য। আমার মতোই পাওনা তিতের (রোমানিয়ান কোচ)। যখন ঢাকা ছেড়ে আসি তখন ক্লাব ম্যানেজার ওয়াসিম বলছিলেন আমাদের অর্থ দ্রুত পরিশোধ করবে। কয়েক মাস ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে আমরা সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু না হওয়ায় ফিফায় আবেদন করতে বাধ্য হয়েছি।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে আর্বিভাব বসুন্ধরা কিংসের। টানা পাঁচ আসর দাপট দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এএফসি’র আসরগুলোতে ভেন্যু, সময় নিয়ে তারা কড়া চিঠি দিয়েছে। এএফসি কাপে সূচি পরিবর্তনের জন্য এএফসি থেকে ক্ষতিপূরণও আদায় করেছে কিংস। অথচ সেই কিংসকে ফিফার কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বিদেশি ট্রেইনার-কোচ। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কিংস আর্থিক চাপে রয়েছে। এতে অনেক চুক্তিপূরণ না করে বিপাকে পড়েছে ক্লাবটি। খলিল ও তিতের অভিযোগ এবং দেনা-পাওনা ক্লাবটির ম্যানেজার ওয়াসিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ফুটবল বিশ্বের খেলোয়াড়-কোচ ও ক্লাবের মধ্যে দেনা-পাওনা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এই সংক্রান্ত অভিযোগ হলে ফিফা খতিয়ে দেখে। খেলোয়াড়-কোচের দায়েরকৃত অভিযোগ সত্য হলে ক্লাবকে একটি সময়সীমা বেঁধে দেয় পরিশোধের জন্য। সেই সময়ের মধ্যে ক্লাব যদি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ নিষ্পত্তি না করে তখন ক্লাবের ওপর ফিফা ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা কিংবা আর্থিক জরিমানা আরোপ করে। আবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্লাব যদি কোনো তথ্য-প্রমাণ উত্থাপন করতে পারে সেক্ষেত্রে ফুটবলার-কোচের আবেদন খারিজ হওয়ার ঘটনাও আছে অনেক।
কদিন আগে বাংলাদেশের আরেক ক্লাব ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব গত মৌসুমে এক উজবেক ফুটবলারকে চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করেনি। পরে ফিফায় অভিযোগ করেছিলেন সেই ফুটবলার। এর প্রেক্ষিতে ফকিরেরপুল ফিফার ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল। যদিও এরই মধ্যে অভিযোগকৃত ফুটবলারের অর্থ পরিশোধ করায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। আজ ফিফা থেকে ফুটবল ফেডারেশন এই সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়েছে।