স্টাফ রিপোর্টার : আজকের এই স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক জাতীয় গবেষণা উন্মোচন অনুষ্ঠান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের জিওগ্রাফিক অনুযায়ী সমতল অঞ্চল থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের হিউম্যান রিসার্চের উপর নজর দেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে হিউম্যান রিসার্চ এর জন্য যে পরিমাণ গবেষক প্রয়োজন তা প্রয়োজনীয়র তুলনায় অনেক কম। গবেষণা কাজে নিয়োজিত গবেষকদের এই গবেষণা আমাদের দেশের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতার প্রকৃত চিত্র, কারণ ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেবে।
তিনি আজ হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ( স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতা) বিষয়ক জাতীয় গবেষণা উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আফসান ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের চিফ এক্সিকিউটিভ মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ফ্যামিলি হেলথ বিষয়ক প্রফেসর তানভীর হাসান, ব্রাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মলয় কান্তি মৃধা এবং আফসান ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি ড. মোসাদ্দেক আহমেদ চৌধুরী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে গবেষক, চিকিৎসক, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিক ও প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা নিয়ে সামাজিক বাঁধা রয়েছে। কিন্তু আজকের এই গবেষণা আমাদের দেখাচ্ছে প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও সামাজিক সহায়তা একত্রে কীভাবে একটি শিশুকে সম্ভাবনার জগতে পৌঁছে দিতে পারে।
তিনি বলেন,আমাদের সংবিধান, শিশু নীতি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী প্রতিটি শিশু, প্রতিবন্ধী হোক বা না হোক, তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখে।
এই গবেষণার ফলাফল ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারণ, স্কুলব্যবস্থা, থেরাপি ও পরিবার-ভিত্তিক সহায়তা ব্যবস্থার জন্য একটি দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে বলে আমি আশাবাদী।
আমি এই গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত সকল গবেষক, চিকিৎসক, সংগঠন ও মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি এই উদ্যোগ স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক সচেতনতা ও সহানুভূতিশীল পদক্ষেপকে জোরদার করবে।