মোহা: আসলাম আলী,বাঘা : অল্প বৃষ্টিতেই রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদর আম চত্বর থেকে শুরু করে বাঘা বাজারের পুর্বে বটতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিঃ মিঃ রাস্তা জলবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে মানুষকে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। চাকুরী জীবি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। মুলত: রাস্তার পাশ দিয়ে নির্মিত কোটি টাকার ড্রেন ময়লা-আর্বজনায় ভরাট হওয়ার কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কোটি টাকার নির্মিত ড্রেন তেমন কোন কাজে আসেনি। গত ১৭ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জলাবদ্ধতার একটি পোস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নজরে আসে। এছাড়া এলাকাবাসী দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা করা হলে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মি আক্তার এর প্রচেষ্টায় জলাবদ্ধতা নিরসনে জনদুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ গ্রহন করেন এবং কাজ শুরু করেছেন।
গত ১৭ জুলাই থেকে উপজেলা সদর ড্রেনটি সংস্কারের লক্ষে বুলডোজার নামিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। ড্রেনটি সংস্কার হলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম জানান, ইউএনও স্যারের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পুরো ড্রেন পরিস্কার হওয়ার আগেই জলাবদ্ধতা দূর হতে শুরু করেছে। পুরোটা সংস্কার হলেই জলাবদ্ধতা সম্পন্ন দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাঘা বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান, আলমগীর হোসেন,নসির উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন-সহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমত। ক্রেতাদের দোকানে আসতে দূর্ভোগ পোহাতে হতো। অনেক সময় দোকানে বসে থেকেও ক্রেতা আসত না। এছাড়া চাকুরী জীবি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে চলাচলে চরম কষ্ট ভোগ করতে হতো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উদ্যোগে ড্রেন পরিষ্কার শুরু হওয়ার পরই আমরা স্বস্তি পাচ্ছি। বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি আক্তার বলেন, স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। নাগরিকরা যাতে তাদের ন্যায্য সুবিধা পায় এবং তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে সে লক্ষে আমি স্বাধ্যমত চেষ্টা করি।