স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহী বাঘায় আব্দুল গনি কলেজের জালিয়াতি মামলার তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে বাঘা থানা পুলিশ।
১৭জুলাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়। মামলার আসামিরা হলেন-ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম,পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহিনুর রহমান (বিপ্লব) ও শিক্ষক প্রতিনিধি আলমাস হোসেন। মামলার তন্তকারি অফিসার সহকারি পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিন দিনিের জন্য তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হলে। এক দিনের জন্য রিমান্ড মুঞ্জুর করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আগামী শুক্রবার তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি টম্পারিং করে সেখানে নিজ প্রতিষ্ঠানের নাম বসিয়ে ৮টি পদে নিজেদের লোক নিয়োগের চেষ্টায় দায়ের করা মামলার ওই তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১০ জুলাই-২৫ ইং তারিখ আসামিরা রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩-এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৫ মে সরেরহাট গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এতে উল্লিখিত তিনজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলা থেকে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ মানবজমিন, জাতীয় অর্থনীতি এবং দৈনিক রাজশাহী পত্রিকায় ‘ল্যাব সহকারী’ পদে চারজনসহ ৮টি পদে ১০ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ তারিখ দেখানো হয় ৩০ মার্চ। ৮টি পদের বিপরীতে ২১ প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক এবং ডিজির প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা হয় ২৭ এপ্রিল। এর পরপরই বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করেন।
তারা জানতে পারেন, জাতীয় অর্থনীতি, দৈনিক রাজশাহী ও মানবজমিন পত্রিকায় চলতি বছরের ১৬ মার্চ আব্দুল গণি কলেজের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। একই তারিখে মানবজমিন পত্রিকার ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় নেত্রকোনার যুগ্ম জেলা জজ ও অর্থঋণ আদালতের নিলাম বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি ঘষামাজা করে কলেজের নাম বসিয়ে নিজেদের লোক নিয়োগে এ নাটক করা হয়।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, মামলার পর তারা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে। আদালত তাদের ১দিনের রিমান্ড আবেদন মুঞ্জুর করেছেন।