নাটোর প্রতিনিধি : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপির কাছ থেকে আওয়ামী লীগ একক নির্বাচন শিখেছে। আবার বিএনপি শিখেছে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। এরা একই গাছের দুই ডাল, একই গাছের দুই ফল। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এরা ৭০-৭১ এর একই সাথের লোক।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, জুলাই আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম, বুলেটের সামনে ছিলাম। তাই দেশের প্রতি দরদ আমাদের বেশি। যারা বিদেশে ছিলেন তাদের দরদ থাকতে পারে না, ব্যথাও লাগবে না। আমরা রাজপথে ছিলাম, কথা বলার দায়িত্বও আমাদের। যারা রাস্তায় ছিল কেবল তারা কথা বলবে, যারা ছিল না তারা থাকবে জেলখানায়। কারণ আমরা রাস্তায় আন্দোলন না করলে আপনারা জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না।
চাঁদাবাজ-ধর্ষকদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ধর্ষক-চাঁদাবাজদের সুযোগ দেওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। দেশটাকে মগের মুল্লুক ভাবার সুযোগ নেই। যারা শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে বুক উঁচা করে রাখতে পারে, তারা চাঁদাবাজ-ধর্ষকদের সামনেও বুক উঁচা করে দাঁড়াবে।
ফয়জুল করীম বলেন, আওয়ামী লীগকে দীর্ঘদিন ক্ষমতা দিয়ে জনগণ পরীক্ষা করেছে। বিএনপিকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করেছে। তারা কেউই জনগণের জন্য কাজ করেনি। কাজ করেছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এবার ইসলামী দলগুলোকে একবার পরীক্ষা করেন। আমাদের ক্ষমতা দিয়ে দেখেন। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে না পারলে আর কোনো দিন পরীক্ষা দিতে আসব না। চোর-ধর্ষকরা ক্ষমতায় গেলে দেশ আবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে।
ইসলামী দল ক্ষমতায় গেলে অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলাম দুনিয়াতে এসেছেই গরিবদের উন্নয়ন করার জন্য। গরিবদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য। ইসলামী অর্থনীতি ছাড়া গরিবদের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব না। ইসলামী অর্থনীতি চালু হলে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে সমস্ত গরিবরা দরিদ্র সীমার ওপরে চলে যাবে।
বক্তব্য শেষে আগামী নির্বাচনে নাটোরের সংসদীয় আসনগুলোতে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, জেলা জামায়েতের নায়েবে আমির ড. নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।