রাবি প্রতিনিধি : ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী এখনো যারা প্রমিনেন্ট ফেইস, তাদের অধিকাংশের ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে উত্থান হয়েছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকেই তাদের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল। আমরা নেতৃত্ব দিয়ে মরা ক্যাম্পাসে তাদেরকে একটা প্রতিবাদের জোয়ার তৈরি করেছিলাম।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল ৫টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বুদ্ধিজীবী চত্বরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছর ক্যাম্পাসগুলোতে প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ ছিল না। আমাদের কর্মকাণ্ডে শিবিরের কর্মীরা আসতো। আমাদের সকল যৌক্তিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনগুলো সমর্থন দিতো। আমরা নেতৃত্ব দিয়ে মরা ক্যাম্পাসে একটা প্রতিবাদের জোয়ার তৈরি করেছিলাম। জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী আমরা যে ধরনের ছাত্র রাজনীতি চাই, ছাত্র অধিকার পরিষদ সেই পদ্ধতির দিকেই হাটছে। ২০১৮ সালে আমরা যেভাবে ছাত্র অধিকার পরিষদকে গড়ে তুলেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে ছিল দলীয় দাসত্ব বাইরে সতন্ত্র ধারার একটি সৃজনশীল ও মেধা ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংসদ নেতারা একটি অগ্রণী ভূমিকা রেখে এই জাতিকে মুক্ত করেছিল। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সেই ছাত্র সংসদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ১৯৯০ এর পর একাধিক দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক পেশিশক্তি ব্যবহারের বিপরীতে ছাত্র রাজনীতির বিকাশে কাজ করতে আমরা দেখিনি। তারা ছাত্রসংগঠন গুলোকে রাজনৈতিক লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এই ধারার ফলে অধিকাংশ তরুণদের মাঝে জন্ম নিয়েছে, ‘আই হেইট পলিটিক্স’। তরুণরা যদি রাজনীতি পছন্দ না করে তাহলে এই দেশ করা চালাবে?
এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ১৬ জুলাই সর্বপ্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ছাত্রলীগ বিতারিত হয়। এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীতে আর কোনো সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না। ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটমেন্ট হচ্ছে নো ছাত্রলীগ, নো গুপ্ত, নো কম্প্রোমাইজ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে একটা ট্রামাটাইজ অবস্থায় রয়েছে। আমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই না। আমরা ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চাই। আগামীর রাকসু নির্বাচনে যারা শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করবে তাদেরকেই আমরা প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে পাবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকারের সভাপতি-সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা।