হেলাল উদ্দীন, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় মাছচোর সন্দেহে এক ভ্যানচালককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে হাটমাধনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মুজিবুর রহমান (৫৬)। তিনি উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ সকালে হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকার আড়তে মাছ বিক্রি শেষে নিজের ভ্যান নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন মুজিবুর। তিনি হাটমাধনগর এলাকায় পৌঁছালে তাঁর পথ রোধ করেন স্থানীয় কয়েকজন। মুজিবুর কেন তাঁদের বিল থেকে মাছ চুরি করে বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চান। একপর্যায়ে রশি দিয়ে তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এ সময় তাঁকে মারধর করে আবার মাছ চুরির বিষয়ে জানতে চান। পরে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা।
এ বিষয়ে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি, তবে তাঁর স্বজনেরা জানান, জোঁকাবিলে মাছ চাষ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এবারও হাটমাধনগর ও বাসুদেবপাড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুজিবুর রহমানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আবুল কালাম, আফসার আলী, পিয়ার বকস, নাদের আলীসহ কয়েজন গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, মুজিবুর ও তাঁর ভাই এবাদুর রহমান বিলের মাছ চুরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। কয়েক দফা হাতেনাতে ধরে সতর্ক করা হলেও তাঁরা শোনেননি। এ ছাড়া তাঁদের এলাকায় বিলের মুখের একটি জলকপাট খুলে পানি ও মাছ বের করে দিয়েছেন তাঁরা।
মুজিবুরকে আপাতত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে জানিয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আজ বেলা একটার দিকে বলেন, সেখানে গিয়ে মুজিবুরকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাননি তাঁরা। তাঁর বিরুদ্ধে বিলটির মাছচাষিদের পক্ষ থেকে চুরির মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ না পেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।