নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শুক্রবার। রাত ৪:০৩। ২৭ জুন, ২০২৫।

মায়ামিতে মেসির আয় ২১ দলের খেলোয়াড়দের বেতনের চেয়েও বেশি!

জুন ২৬, ২০২৫ ৮:৪৭
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : আমেরিকার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) টানা তৃতীয় বছর সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত ফুটবলার হতে যাচ্ছেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এমনকি তার বেতন ২১টি দলে থাকা খেলোয়াড়দের মোট বেতনের চেয়েও বেশি। মায়ামিতে মেসির বার্ষিক আয় ২ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৭ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এপি।

গতকাল (বুধবার) এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন লিগের বিভিন্ন দল ও খেলোয়াড়দের হালনাগাদকৃত বেতনের হিসাব সামনে এনেছে। যেখানে বছরে মেসির মূল বেতন ১২ মিলিয়ন ডলার, এর সঙ্গে বিভিন্ন মার্কেটিং ও এজেন্ট ফি, চুক্তিতে থাকা অন্যান্য হিসাব ও পারফরম্যান্স বোনাসও যুক্ত হয়ে আর বিশাল অঙ্ক দাঁড়ায়। যা আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের এমএলএস চুক্তিতেই উল্লেখ ছিল।

আরও পড়ুনঃ  তিনবার সংসার ভাঙার পরও বিয়েতেই আস্থা শ্রাবন্তীর

মেসির মতো উচ্চ বেতনধারী তারকা যে দলে থাকেন, স্বভাবতই তারা লিগেও খরচের দিক থেকে শীর্ষ সারিতে থাকবে। ২৩ মে পর্যন্ত হিসাব মতে, এমএলএসে মেসির মায়ামি লিগের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৬.৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বছরে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৬৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পুরো অর্থের প্রায় অর্ধেকই যায় মেসির পকেটে। গত মৌসুমের চেয়ে কেবল বেতন খাতেই কমপক্ষে ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ বেড়েছে ডেভিড বেকহ্যামের এই ক্লাবটির।

মায়ামির বেতন খাতে খরচের ধারেকাছে নেই এমএলএসের আর কোনো ক্লাব। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪.১ মিলিয়ন ডলার টরোন্টো এফসি এবং এরপর আটলান্টা ইউনাইটেড ২৭.৬ মিলিয়ন ডলার খেলোয়াড়দের বেতনের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। এ ছাড়া সিনসিনাতি ২৩.২ মিলিয়ন, এমএলএসের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এলএ গ্যালাক্সি ২২.৯ মিলিয়ন, লস অ্যাঞ্জেলস এফসি ২২.৪ মিলিয়ন এবং শিকাগোর খরচ ২২.১ মিলিয়ন ডলার। এদিক থেকে মন্ট্রিল সর্বনিম্ন ১২ মিলিয়ন এবং ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ১৩.৪ মিলিয়ন ডলার দেয় বেতন হিসেবে।

আরও পড়ুনঃ  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

সর্বোচ্চ বেতনধারী খেলোয়াড়ের তালিকায় মেসির পরই আছেন টরোন্টোর উইঙ্গার লোরেঞ্জো ইনসিগনে, ১৫.৪ মিলিয়ন ডলার। এরপর আছেন মায়ামির সাবেক বার্সেলোনা মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস, ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। এ ছাড়া আটলান্টার উইঙ্গার মিগুয়েল আলমিরন ৭৮৭১০০০ ডলার, সান দিয়েগোর উইঙ্গার হার্ভিং লোজানো ৭৬৩৩৩৩৩ ডলার, টরোন্টোর উইঙ্গার ফেদেরিকো বার্নাদেশ্চি ৬২৯৫৩৮১ ডলার, নিউইয়র্ক রেডবুলসের উইঙ্গার এমিল ফর্সবার্গ ৬০২৩৬২৫ ডলার, মায়ামির লেফটব্যাক জর্দি আলবা ৬ মিলিয়ন ডলার, এলএ গ্যালাক্সির রিকুই পুইগ ৫৭৭৯৬৮৮ ডলার, শিকাগোর জনাথন বোম্বা ৫৫৮১৮০৬ ডলার ও ন্যাশভিলের হ্যানি মুখতার বার্ষিক পারিশ্রমিক ৫৩১১৬৬৭ ডলার পান।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অপেক্ষা করছে চীন : বিএনপি

সবমিলিয়ে ৯০২ ফুটবলার চুক্তিবদ্ধ আছেন এমএলএসের বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে। সবমিলিয়ে বছরে তাদের বেতন হিসেবে ব্যয় হয় ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার। যা আগের মৌসুমের (২০২৪) চেয়ে ১২.৯ শতাংশ বেশি। ২০২২ সাল থেকেই বেড়ে চলেছে খেলোয়াড়দের এই বেতনের হার। ওই বছর ৩৯৪ মিলিয়ন ও পরের মৌসুমে ৪৬০ মিলিয়ন ডলার ছিল এই খাতে ব্যয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।