নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। রাত ৪:২৮। ২৯ মে, ২০২৫।

মার্কিন ‘গোল্ডেন ডোম’ মহাকাশে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করছে : উত্তর কোরিয়া

মে ২৭, ২০২৫ ১২:৫৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হুমকি হিসেবে অভিহিত করে উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার বলেছে, এটি মহাকাশে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমন তথ্য জানিয়েছে।

সিউল থেকে এএফপি জানায়, গত সপ্তাহে ট্রাম্প এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নতুন বিবরণ এবং প্রাথমিক অর্থায়নের ঘোষণা দেন। তিনি একে “আমাদের দেশের সাফল্য ও এমনকি টিকে থাকার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” বলে উল্লেখ করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এ উদ্যোগের সামনে রয়েছে বড় ধরনের প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং এটি বিপুল ব্যয়ের কারণ হতে পারে।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-এর মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে “পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রগুলোর কৌশলগত নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টির লক্ষ্যে নেওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক এক ‘হুমিকর উদ্যোগ” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীর সড়কে পরপর দুটি ট্রাক দুর্ঘটনা, এক হেলপার নিহত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশকে সামরিকীকরণের পথে অন্ধভাবে এগিয়ে চলেছে।”

তারা আরও যোগ করেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনাই মূলত বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক এবং মহাকাশ অস্ত্র প্রতিযোগিতা ছড়িয়ে দেওয়ার মূল কারণ। এটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে এবং মহাকাশকে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তর করছে।”

সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়াকে নিবৃত্ত করতে একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ও পারমাণবিক সাবমেরিনসহ বিভিন্ন কৌশলগত অস্ত্রের উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে।

উত্তর কোরিয়া বহুবার নিজেদেরকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়াকে আক্রমণের মহড়া বলে নিন্দা জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন

কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হং মিন এএফপিকে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কঠোর প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, তারা ‘গোল্ডেন ডোম’কে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার—বিশেষ করে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কার্যকারিতা হ্রাসকারী হুমকি হিসেবে দেখছে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে, তাহলে উত্তর কোরিয়াকে বিকল্প প্রতিরক্ষা বা অনুপ্রবেশমূলক কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে।’

-চীন ও রাশিয়া অস্ত্র উন্নত করছে-

যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা নিয়ে চীনও তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী বলে উল্লেখ করেছে।

২০২২ সালের পেন্টাগন পর্যালোচনা অনুযায়ী, বলিষ্ঠ ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়ে উঠছে। একইসঙ্গে, রাশিয়াও তার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করছে এবং উন্নত নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে।

আরও পড়ুনঃ  জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না : কর্নেল শফিকুল

ক্রেমলিন বলেছে, ট্রাম্পের এ উদ্যোগ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন হতে পারে, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘সার্বভৌম বিষয়’। আগের কঠোর সমালোচনার তুলনায় এ বক্তব্য কিছুটা নরম।

‘গোল্ডেন ডোম’ নামটি এসেছে ইসরাইলের ‘আয়রন ডোম’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে, যা ২০১১ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে এবং হাজার হাজার স্বল্প-পাল্লার রকেট ও অন্যান্য বস্তু প্রতিহত করেছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মুখোমুখি, সেগুলো ইসরাইলের ‘আয়রন ডোম’-এর লক্ষ্যবস্তু স্বল্প-পাল্লার অস্ত্রের তুলনায় অনেক ভিন্ন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।