নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। রাত ৯:৪১। ৪ নভেম্বর, ২০২৫।

যশোরে পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, নতুন মুখ শ্রাবণ

নভেম্বর ৪, ২০২৫ ৬:০৬
Link Copied!

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। অপর আসনটি শরীক দলের জন্য ছাড় দেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন জেলা বিএনপির নেতারা। নতুন মুখ হিসেবে প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেয়া হয়নি সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।

এছাড়া যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির নাম। তিনি এ আসন থেকে আগেও বিএনপির হয়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তৃপ্তি। এই আসনে তৃপ্তি ছাড়া মনোনয়ন দৌঁড়ে ছিলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি হাসান জহির।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার স্বামী প্রয়াত নাজমুল ইসলাম যশোর জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সময়কালে গুমের পর হত্যা করা হয় তার স্বামীকে। স্বামীর মৃত্যুর পর গৃহিনী থেকে একেবারে নতুন মুখ হিসাবে রাজনীতিতে নামেন। ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন। যদিও চেয়ারম্যান দায়িত্বপালনকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাকে ছয় বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। রায়ে মুন্নির এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত। ফলে সাবিরা নাজমুলকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। মনোনয়ন দৌড়ে ছিলেন জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান।

ঘোষণা অনুযায়ী, যশোরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যশোর-৩ সদর আসনে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সন্তান। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। যেহেতু যশোরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগম ও তার ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ফলে আসনটিতে দলের অন্য কেউ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়নি। ফলে অনেক আগে থেকেই অমিত মনোনয়ন পাবেন সেটা নেতাকর্মীরা অনুমান করেছিলেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবকে। তিনি কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি এর আগেও বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মতে, এ আসনটি শরীক দলের প্রার্থীকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে নতুন মুখ হিসেবে প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের দীর্ঘ রাজনৈতিক পটভূমি থাকলেও তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তার পরিবার তাকে তাজ্য ঘোষণা করেছিলেন। এখনও পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তবে
যশোর-৬ আসনে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘ছয়টি আসনে প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন পাবার জন্য তৃণমূলে কাজ করেছে। সম্ভাব্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। মনোনয়ন নেয়ার দৌঁড়ে প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রতিযোগিতা ছিলো। তবে দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে; তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন। দ্বন্দ্ব গ্রুপিং থাকলেও আস্তে আস্তে সেটা সমাধান হবে শুধুমাত্র দলের জন্য।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।