মনির হোসেন, বেনাাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বিনোদিয়া পার্কে যুবক-যুবতী একসঙ্গে কীটনাশক পানের ঘটনায় সাদিকুর রহমান (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার ১৫নভেম্বর দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত সাদিকুর ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মিয়া সুন্দরপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মৃতের বাবা মনিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সাদিকুর রহমান ও এক যুবতী পার্কে একসাথে বিষপান করেন। তবে ওই তরুণীর সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার১৩নভেম্বর সকালে সাদিকুর ও এক যুবতী যশোরের বিনোদিয়া পার্কে এক সাথে বিষপান করেন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাদিকুরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। আর মেয়েটিকে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে চলে যাওয়ায় তাকে ‘পলাতক’ দেখানো হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হুসাইন শাফায়াত জানান, বৃহস্পতিবার বিষপান করে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ছেলেটিকে রেফার্ড করা হলেও মেয়েটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওয়ার্ডে কোনো তথ্য না দিয়েই সে চলে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সাদিকুর বিবাহিত। সাংসারিক জীবনে তার স্ত্রী ও ৬ মাসের মেয়ে রয়েছে। তারপরও পাশের উপজেলার এক যুবতীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার ওই নারীর সাথে দেখা করতে যশোরের বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্কে যায়। সেখানে তারা একসাথে কীটনাশক পান করে।
এদিকে, মৃত সাদিকুরের পিতা মনিরুল ইসলাম জানান, তার ছেলে বিবাহিত। সাংসারিক জীবনে তার ছেলের ঘরে ৬ মাসের মেয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিনোদিয়া ফ্যামেলি পার্কে ছেলে ও মেয়েটি একসাথে কীটনাশক পান করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে খুলনায় রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে তার ছেলে সাদিকুরে০র মৃত্যু হয়। তবে মেয়েটি এখনো খুলনা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সাদিকুরের মৃতদেহ বুঝিয়ে দিয়েছে হাসপাতল কর্তৃপক্ষ। ইসা বাদ তার ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

