নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ সোমবার। রাত ১২:২৩। ২০ অক্টোবর, ২০২৫।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ১০:০৮
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস খুব শিগগিরই ইসরায়েলের সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। রোববার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তরের ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে গোষ্ঠীটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তরের এক বিবৃতিতে ‘বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যের’ বরাত দিয়ে হামাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের আশঙ্কার কথা জানানো হয়। জবাবে হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ইসরায়েলের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ; যা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার বাহিনীর অপরাধ ও পরিকল্পিত আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দেয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, হামাস গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে; যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হবে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শান্তিচুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য হামাসের প্রতি চাপপ্রয়োগের আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন।

শনিবার রাতে পররাষ্ট্রদপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ আছে; যেখানে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে আসন্ন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রস্তুতি নেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর বলছে, যদি হামাস এই ধরনের হামলা চালায়, তাহলে গাজার জনগণকে সুরক্ষিত এবং যুদ্ধবিরতির অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও ওই বিবৃতিতে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

হামাস ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিভ্রান্তিকর বয়ানের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন রোধে মনোযোগী হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি একেবারে বিপরীত চিত্র তুলে ধরছে। আসলে দখলদার কর্তৃপক্ষই অপরাধী গোষ্ঠী তৈরি, তাদের অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থায়ন করেছে; যারা ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের ওপর হত্যা, অপহরণ, ত্রাণ ট্রাক ডাকাতি ও হামলা চালিয়েছে। তারা নিজস্ব গণমাধ্যম ও ভিডিও বার্তায় এসব অপরাধের স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েলের বিশৃঙ্খলার বিস্তার ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠী বলেছে, গাজায় তাদের পুলিশ বাহিনী জনগণ ও সামাজিক সমর্থনে জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে; অপরাধী গোষ্ঠীগুলোকে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করছে।

গাজার ক্ষমতাসীন হামাস সরকারের গণমাধ্যমের দপ্তর শনিবার বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। চুক্তির পর ইসরায়েলি হামলায় ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। দপ্তরটি এসব হামলাকে যুদ্ধবিরতি ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।

সূত্র: আল জাজিরা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।