স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাদের অংশগ্রহণে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহী নগরের একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় রাজনৈতিক সংগঠন ও আন্দোলনের কার্যক্রমকে ঘনীভূত করার লক্ষ্যে পরবর্তী সাংগঠনিক রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমরান ইমন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুব উইংয়ের সংগঠক হযরত আনাস, শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক মোহাম্মদ রমজান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু, মহানগর আহ্বায়ক আল আশরারুল ইমাম (তানিম), মুখপাত্র আনজুমান আরা আর্শি, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
সভায় বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে ছাত্র-যুব সমাজের ভূমিকাকে নতুনভাবে সংগঠিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষিত তরুণদের ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।
সভায় আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, রাজশাহী জেলার প্রতিটি উপজেলা এবং মহানগরের প্রতিটি থানায় খুব শীঘ্রই এনসিপির সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে এবং আন্দোলনের বার্তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমরান ইমন বলেন, “আমরা কেবল একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে চাই না, আমরা একটি ন্যায্য রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার লড়াই করছি। এই লড়াই ছাত্র, যুব ও শ্রমজীবী মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিচালিত হতে হবে। রাজশাহীতে সংগঠনের ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আমরা প্রতিটি থানায় সক্রিয় কাঠামো গঠন করব।” সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন জোরদার করবো।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার যে বৈষম্য ও অন্যায়, তা শুধুমাত্র সংগঠিত গণআন্দোলনের মাধ্যমেই রুখে দেওয়া সম্ভব। এনসিপি সেই ঐক্যের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।”
সভাটি রাজশাহী অঞ্চলে এনসিপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও ছাত্র-যুব নেতৃত্বের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি নতুন গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।