নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। রাত ১০:৫৬। ৩০ জুন, ২০২৫।

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক সান্তাল হুল দিবস উদযাপন

জুন ৩০, ২০২৫ ৫:৫৮
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : ‘যেখানে অধিকার বঞ্চনা, সেখানেই হুল’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ১৭০তম সান্তাল হুল দিবস। সোমবার (৩০ জুন) বেসরকারি সংস্থা সিসিবিভিও, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটি এবং স্থানীয় গ্রাম সংগঠনগুলোর আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়।

এ উপলক্ষে সকালে রক্ষাগোলা সংগঠনের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সিসিবিভিও শাখা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি কাঁকনহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে পৌরসভার শহীদ মিনারে যা। সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঘোষিত সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই: সালাহউদ্দিন

পরে একটি সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিসিবিভিও’র সমন্বয়কারী আরিফ ইথার। আরও বক্তব্য রাখেন- রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতা সুমিতা হাঁসদা, মলিন মার্ডী, বাপ্পি মার্ডী, মুকুল সরেন ও রঞ্জিত রায়।

বক্তারা বলেন, ‘১৭০ বছর ধরে সান্তাল হুল দিবস সাঁওতালদের কাছে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের গৌরবোজ্জ্বল এক স্মারক। কিন্তু এখনও আমরা শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। এখনো ভূমির অধিকার বা সমতলের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পাইনি। আমরা আমাদের স্বীকৃতি চাই।’

সান্তাল হুলের ইতিহাস তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন শুরু হওয়া সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল উপমহাদেশের প্রথম সশস্ত্র গণআন্দোলন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ, তাদের দেশীয় দালাল জমিদার, সুদখোর ও পুলিশ বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব নামের চার ভাই। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দুই বোন ফুলোমনি ও ঝালোমনি মুরমু। প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন এ যুদ্ধে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে চার নেতা নিহত হলে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।

আরও পড়ুনঃ  নির্যাতিতদের সমর্থনে রাজশাহীতে অধিকারের মানববন্ধন

বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক এই আত্মত্যাগ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের পাথেয় হয়ে উঠেছিল। তাই অনেক সাঁওতাল এ দিনটিকে “সিধু-কানু দিবস” হিসেবেও পালন করেন। সেই বিদ্রোহ আজও সাঁওতালদের পথ দেখায়। তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য টিকে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ  রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিসিবিভিও’র প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৌমিক ডুমরী এবং সমাজ সংগঠক মানিক এক্কা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উর্ধ্বতন মাঠ কর্মকর্তা নিরাবুল ইসলাম।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।