স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নারী ও যুব সমাজের নেতৃত্ব শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্যদের নিয়ে দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর ডাসকো ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স কক্ষে ‘জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি ট্রান্সফর্মস ক্লাইমেট অ্যাকশন’ (গেটকা) প্রকল্পের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার আর্থিক সহায়তায় ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে প্রকল্পটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন, যুবদের সম্পৃক্ততা এবং তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজনের একটি টেকসই মডেল গড়ে তোলাই এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য বলে সভায় জানানো হয়।
ডাসকোর জেলা সমন্বয়কারী মদন দাসের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ও রুলফাও-এর পরিচালক আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, পানি ও জীবিকায় ব্যাপক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সভায় ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি ও বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক ফয়েজুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, পানি সংরক্ষণ এবং বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে। তিনি মাঠপর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দা শামসুন্নাহার মুক্তি বলেন,“জেন্ডার সমতা নিশ্চিত না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা সম্ভব হবে না।” তিনি নারীদের জন্য জলবায়ু সহায়ক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ জোরদারের আহ্বান জানান।
সভায় ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি ফোরামের নির্বাহী সদস্য ও সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জলবায়ু সচেতনতা বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য সমাজসেবক বিমল চন্দ্র রাজোয়ার, মানবাধিকার কর্মী আশরাফুল হক তোতা, কোষাধ্যক্ষ শেফালী এবং সদস্য হাসিনুর রহমান, ড. আইনাল হক, জাহাঙ্গীর আলম, জাহিদ হাসান, ছোটন সরদার, সোহেল রানা, মাজদার আলী ও শ্রী হিরালাল নিজ নিজ বক্তব্যে স্থানীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সভা শেষে বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি ফোরামকে আরও সক্রিয় করা হবে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ জোরদার করা হবে।
