শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত, দিনভর দেখা মেলেনি সূর্যের

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। মাঘের প্রথমদিনই রাজশাহীতে দেখা মেলেনি সূর্যের। চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা থাকলেও কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা। এমন অবস্থায় জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে আসা নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে পড়তে হয়েছে বিপাকে। বিভিন্ন পেশায় নিয়তিজ এমন মানুষগুলোকে শীত উপেক্ষা করে কাজ করতে হয়েছে। তবে শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া খুব কম মানুষই ঘরের বাইরে বের হয়েছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক বেশি না থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ছয়টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ও সন্ধ্যা ছয়টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এছাড়া আগামি ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, সকাল থেকে চারপাশে কুয়াশা ছিল। বিভন্ন যানবাহনগুলোকে ফগার লাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কিছুটা কমলেও গুঁড়ি গুঁড়ির মত কুয়াশা ঝড়েছে। এমন অবস্থায় নগরীতে কাজে আশা নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজ করতে দেখা গেছে। অপরদিকে, কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলায় লালচে ও হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। তবে কৃষি অফিস বলছে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। একই সাথে ধানের বীজ থেকে খেজুরের বা তালের ডাল কুয়াশা ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

অটোরিক্সা চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে বেশি কুয়াশা ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কমতে থাকে। তবে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে সূর্যের তাপ ছিল না সারাদিন। এতে করে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। রিক্সা চালানোর সময় ঠান্ডা বাতাস লাগছে। আর বৃষ্টির মত পড়া কুয়াশার কারণে জ্যাকেট ভিজে গেছে। এতে করে সড়কে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

পবা পাড়িলা ইউনিয়ন থেকে নগরীতে কাজের সন্ধানে আসা তালাইমারী মোড়ে বসে থাকা নির্মাণ শ্রমিক রাকিব আলী বলেন, শীতের কারণে কাম-কাজ কম। গত দুইদিন এসে কাজ না পেয়ে ফিরে গেছি। অনেকেই ফিরে যাচ্ছে। এমন আবহাওয়া কেটে গেলে তাদের কাজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নগরীর বুধপাড়া এলাকায় কৃষি জমিতে ঢেঢ়সের বীজ বপনের কাজ করছেন শামীম। শামীম জানান, কুয়াশার বৃষ্টির মত ঝড়ছে। শরীরের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। খালি পাঁয়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরেও উপাই নেই, কাজ করতেই হবে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষক রেজওয়ানুল হক বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে কমেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে মাত্র ৫ ডিগ্রি কম বেশি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছির কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। একই সাথে দিনভর ছিলনা সূর্যের দেখা। তার পরেও আবার কুয়াশা ঝড়েছে বৃষ্টির মত। এর ফলে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত