নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বুধবার। সন্ধ্যা ৭:০১। ১২ নভেম্বর, ২০২৫।

রাজশাহীতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দাবিতে বাপার স্মারকলিপি

নভেম্বর ১২, ২০২৫ ৫:৩৭
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী অঞ্চলের প্রবাহিত নদী, খাল ও জলাশয় অবৈধ দখলমুক্ত করে দূষণরোধ ও পুনঃখননের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা কমিটি। এ দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

এ সময় জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার স্মারকলিপির দাবির বিষয়ে আন্তরিকতার কথা জানিয়ে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় বাপার জাতীয় কমিটির সদস্য মো. জামাত খান, রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন, সহসভাপতি অধ্যাপক জুয়েল কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা বেগম, উপদেষ্টা শ. ম. সাজু, মামুন-অর-রশিদ, সাফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহানগরী রাজশাহী। জেলার অভ্যন্তরে বহু নদী, খাল ও জলাশয় ছিল প্রাণচঞ্চল। কিন্তু অবৈধ দখলদার ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উদাসীনতায় এসব জলাশয় এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে পানি ধারণক্ষমতা কমে গিয়ে সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে।

স্মারকলিপিতে সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে। কৃষিকাজে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ অঞ্চল এখন মারাত্মক জলসংকটে পড়েছে। পাশাপাশি পদ্মা নদীর পাড় দখল, দূষণ ও পানি প্রবাহ হ্রাসের কারণে নদীর পাড়ে ভরাট ও চর গঠনের প্রবণতাও বেড়ে গেছে।

এতে বলা হয়, পদ্মা, শিব-বারনই, হোজা, মালঞ্চ, মুসা খাঁ, বড়াল ও নারদ নদী মৃত্যুর মুখে। এসব নদীতে এখন আর নৌকা চলে না, মাছও ধরা পড়ে না। নদীর যে সৌন্দর্য একসময় চোখ জুড়াত, এখন তা শুধুই স্মৃতি। অপরিকল্পিতভাবে ছোট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণ, ময়লা-আবর্জনা ফেলা ও দখলের কারণে নদীগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় নদীগুলোর পুনঃখনন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ের মাধ্যমে নদীর যৌবন ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপির অনুলিপি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাউবো মহাপরিচালক ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কাছেও পাঠানো হয়।

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।