স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে ৯ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক পথশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে শিশুটিকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনরা বলছেন, শিশুটিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওসিসির সামনে অপেক্ষমান শিশুটির চাচা জানান, শিশুটির বাবা তার বড় ভাই। পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জের ধরে তার ভাইয়ের সংসার ভেঙে যায়। এরপর তার ভাই আরেকটি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার ভাই তাহেরপুর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। ফলে শিশুটি একা হয়ে পড়ে। চার বছর বয়স থেকেই তার ভাতিজি তাহেরপুরে থেকে যায়।
তিনি জানান, শিশুটিকে তারা বাড়িতে রাখার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সে কোনভাবেই বাড়িতে থাকত না। তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। কোনো সময় মানুষের বারান্দায় বা সিএনজি স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে পড়ত। সোমবার দুপুরে শিশুটি দুপুরের পর তার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাত ১০টা হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি।
ফিরে না আসায় তিনি খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাহেরপুর বাজারের স্থানীয়রা শিশুটিকে কলেজ গেটের পাশে বাগানের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এসময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শিশুটি অচেতন ছিল। তার মুখ দিয়ে মদজাতীয় নেশাদ্রব্যের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর তাকে দ্রুত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন বলেও জানান তিনি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে সোমবার গভীর রাতেই বাগমারা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি।
তিনি বলেন, বাক প্রতিবন্ধী পথশিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে বখাটে কোনো যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে। শিশুটিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এখনও শিশুটির পরিবার অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সাথে কে বা কারা যুক্ত, খুঁজে বের করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।