মোহা: আসলাম আলী, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হেলালপুর মোছার ঈদগাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক কর্মচারিদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ছাত্রীসহ অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই-২৫) সকাল ১১ টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের এঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক ছাত্রীসহ উভয় পক্ষের এক ছাত্রীসহ অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর মুসার ঈদগাহ মাধ্যমিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনিয়ম,দুর্নীতির কারনে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সঙ্গে দির্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি, সহকারী শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেককে সহকারী শিক্ষক‑কর্মীরা বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
আজ বুধবার সকালে “প্রধান শিক্ষক চেয়ারে বসবেন” এমন খবরে কমিটি, সহকারী শিক্ষক‑পক্ষের লোকজন আগে থেকেই বিদ্যালয়ে অবস্থান নেন, পরে প্রধান শিক্ষক ও তার লোকবল সকাল ১১ টার সময় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পর উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত প্রায় ২৪ জন আহত হয়। আহতরা হলেন: প্রধান শিক্ষকের পক্ষের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক, তার ভাই আমানুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, হক সাহেব ও নেক আলমসহ প্রায় ১১জন। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এদের মধ্যে পাঁচ জনকে উন্নত শিক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) প্রেরণ করেন।
অপর দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল, সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া, ছাত্র রাইদুল ইসলাম, আকাশ আলী, জীবন আহাম্মেদ, রুবেল আলী, বজলুর রহমান, মারুফ হোসেন, সম্রাট আলী, সাগর ইসলাম, রাজ আহাম্মেদ, রাহাবুল রুবেল ইসলামসহ প্রায় ১৩ জন আহত হয়।
এদের মধ্যে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রামেকে) প্রেরণ করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত জানান,এ বিষয়েকোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি আক্তার জানান যে, উভয় পক্ষের অভিযোগ ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তারা ইতোমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কোন কমিটি নেই, রিপোর্টটি জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।