নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। দুপুর ১:৩৪। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

রাজশাহীতে ‘ভণ্ড পীর-ফকিরদের’ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫ ৯:০২
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলায় ‘ভন্ড পীর-ফকিরদের’ সমাজ ও শরীয়তবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে উলামায়ে কেরাম ও মুসল্লিরা। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলার বায়া বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এর আগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইমরান উদ্দীনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বায়া বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

সেখানে মাওলানা ইমরান উদ্দীন বলেন, ‘পবার চন্দ্রপুকুর গ্রামে হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরীফের আড়ালে গাঁজার আড্ডা বসানো হতো। এ খবর পেয়ে দেড় শতাধিক তৌহিদী জনতা সেখানে গিয়ে তা ভেঙে দেয়। তিনি বলেন, আমরা মসজিদ বা মাজারের বিরুদ্ধে নই, তবে যেখানে অপকর্ম হবে, সেখানেই প্রতিবাদ জানানো হবে।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ২৪ ঘণ্টায় দেড় মিলিয়ন আবেদন

তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভন্ড পীরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে নিরপরাধ আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, যেন আলেম-ওলামাদের হয়রানি না করা হয়।

মানববন্ধনে দারুল উলুম আন নাজমুস সাকিব মাদ্রাসার পরিচালক আবু জাফর বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই—ইসলামে কোনো ভ্রান্ত মতবাদ বা কুসংস্কারের স্থান নেই। সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও মাদকাসক্তি বৃদ্ধির পেছনে এসব ভন্ড আস্তানার বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা গোপনে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আসর বসায়, আবার প্রকাশ্যে ধর্মের দোহাই দেয়। মুসল্লীরা আজ মাঠে নেমেছে এ কারণেই।’

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে জামায়াতের নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আবু জাফর বলেন, ‘পবা উপজেলাসহ দেশের সব অঞ্চলে ভন্ড পীর-ফকিরদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা চাই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, যুব সমাজ ইসলামি আদর্শে গড়ে উঠুক।’

আরও পড়ুনঃ  অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ৫ নারী-পুরুষকে আটক করেছে বিজিবি

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা এবং মাদানী মাদ্রাসার প্রধান হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আলী। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।

এর আগে গেল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পবার বড়গাছি ইউনিয়নের চন্দ্রপুকুর গ্রামে হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরীফে হামলা চালান তৌহিদী জনতা। সেদিন পুলিশের সামনেই এই খানকা শরীফটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে অবশ্য আইনি প্রতিকার চাননি খানকার ‘পীর’ আজিজুর রহমান।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।