স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) থেকে একটি ল্যাপটপ ও একটি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ জুলাই দিনগদ রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবে টিটিসির অধ্যক্ষ নাজমুল হক চুরির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। পাশাপাশি চুরির ঘটনা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করছেন এই চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক।
রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকায় অবস্থিত টিটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই দিনগত রাতে চোরেরা টিটিসির মেশিন শপ বিভাগের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে একটি ল্যাপটপ ও একটি কম্পিউটার চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন ৮ জুলাই বিষয়টি জানাজানি হয়। রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ নাজমুল হক চুরির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেন। তবে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনায় নিকটস্থ শাহমখদুম থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। টিটিসি থেকে আরএমপির শাহমখদুম থানার দুরত্ব মাত্র কয়েকশ গজ।
টিটিসির একজন প্রশিক্ষণ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টিটিসি একটি সুরক্ষিত জায়গা। চোরেররা তালা কেটে এতো বড় চুরির ঘটনা ঘটলো। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করে চোরদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট হত। কিন্তু থানায় অভিযোগ না হওয়ায় চোরেরা আড়ালে থেকে যাবে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে কখনো চোর ধরা সম্ভব হবে না।
একাধিক শিক্ষাথীর অভিযোগ, মেশিন শপ বিভাগে বিভিন্ন ধরণের মেশিনের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষন ও মেরামত বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। টিটিসির এই বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারিজ ও কম্পিউটার ল্যাব দ্বারা সজ্জ্বিত। এখানে চুরির ঘটনা রহস্যজনক। এর আগেও ২০২১ সালের ২০ মার্চ রাতে রাজশাহী টিটিসিতে বড় ধরণের চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ওই চুরির ঘটনায় চোরেরা ল্যাবের ২৯টি কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় অবশ্য দুদিন পর শাহমখদুম থানায় মামলা করা হয়েছিল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ নাজমুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির বিষয়। এ কারণে আমরা থানায় অভিযোগ করিনি। তবে তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক তদন্তে কি উঠে আসে। তার পর আমরা আইনী ব্যবস্থা নিব।