স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দুর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শ করে আয়োজক কমিটির নিকট আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক রাজশাহী ৫ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সাত্তার।
১ অক্টোবর (বুধবার) বিকেল ৩ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রাজশাহীর দুই উপজেলা অসংখ্য দুর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। পূজা নির্বিঘ্নের লক্ষ্যে তার অনুসারী কর্মী সমর্থকদের সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছেন।
পূজা উদযাপন উৎসব মূ-খর রাখতে সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি অসংখ্য পূজা উদযাপন কমিটির নিকট অর্থিক সহয়তা প্রদান করেছেন। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে, মন্দিরের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল, দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুর রহমান মন্টু, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাতেম আলী, উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন প্রমুখ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী সফরসঙ্গী হিসেবে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার বলেন, একটি চক্র ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার লক্ষ্যে গভীর চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে হিন্দু ভাইবোনদের ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্ন, উৎসব মুখর করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনেই আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা সজাগ থাকবেন কোন বিশৃঙ্খলা হলে আমাদের জানাবেন । আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আপনাদের উৎসব যাতে আনন্দ মুখর পরিবেশে উৎযাপিত হয়।
তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব হলেও আবহমানকালের শাশ্বত গতিধারায় সেটি বাঙালি জাতির ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সার্বজনীন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় এমন সম্প্রীতি পৃথিবীতে আর কোন দেশে নেই।
দুর্গাপূজার মূল লক্ষ্য হলো, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে সমাজে শুভশক্তির উদ্বোধন ঘটিয়ে সব মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা। আমরা সর্বদাই ভালো কাজের মাধ্যমে খারাপ কাজের বিনাশ ঘটাবো।
আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের জাতীয় জীবনে সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করুক। আমি হিন্দু সম্প্রদায়সহ বাংলাদেশের সব জাতিগোষ্ঠীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। পারস্পরিক ভালোবাসা, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান।