স্টাফ রিপোর্টার : ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’ বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিনোদপুর হয়ে তালাইমারি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালির আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ব্যানার ও ফেস্টুনসহ ছোট ছোট র্যালি নিয়ে জোহা চত্বরে জমায়েত হন। পরে একত্রিতভাবে বের হয় প্রধান বিজয় র্যালিটি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “এক বছর আগে যে আনন্দ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা একটি নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল। এখন আমাদের হিসাব করে দেখা উচিত, সেই সম্ভাবনার পথে আমরা কতটা এগিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের এই র্যালি যে ঐক্য তৈরি করেছে, তা ধরে রাখাই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এই ঐক্য রক্ষা করতে হবে।”
সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, “এক বছর আগে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা কতটা পূরণ হয়েছে—তা নিয়ে এখন চলছে পর্যালোচনা। আমাদের লক্ষ্য ছিল শাসনব্যবস্থার সংস্কার, দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করা। কিন্তু এক বছর পরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়ে গেছে অমীমাংসিত। আজকের দিনে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনও প্রকাশিত হয়নি। শহীদদের বিচারকার্যও সেভাবে শুরু করা সম্ভব হয়নি।”
র্যালিতে অংশ নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো—আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সব অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করা এবং জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাগ্রত হওয়া জনগণের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়া।”