স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ার কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মূলহোতা রাইসুলকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মো: রাইসুল ইসলাম রাহি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার পুটিমারী গ্রামের নুর মোহাম্মদ রাজ্জাক ওরফে মো: আহাম্মাদ খন্দকারের ছেলে। বর্তমানে সে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার বাবুপাড়ার বাসিন্দা।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, মো: আব্দুল্লাহ আল ইমরান ও তার বান্ধবী ২০২৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়। পরবর্তীতে তারা ১৭ জুলাই বিশেষ কোটায় ভর্তির লক্ষ্যে ফার্মেসী বিভাগে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেয়। ফার্মেসী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাগজপত্রের স্বাক্ষর জাল সন্দেহ হলে ইমরানকে ২০ জুলাই পুনরায় আসতে বলেন। সে সময়ে ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোসা: শাহনাজ পারভীন ছুটিতে ছিলেন।
ইমরান একাই ২০ জুলাই না এসে ২৭ জুলাই ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোসা: শাহনাজ পারভীনের কাছে উপস্থাপন করে। কাগজপত্র যাচাই করে তা জাল প্রমাণিত হলে প্রফেসর ড. মোসা: শাহনাজ পারভীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: মাহবুবর রহমানকে অবগত করেন এবং প্রক্টর আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ ইমরানকে মাতহার থানার নিকট সোপর্দ করে। পরবর্তীতে প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: মাহবুবর রহমান মতিহার থানায় জালিয়াতির অভিযোগ দাখিল করলে একটি নিয়মিত জালিয়াতি মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পরে মতিহার থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায়, টাকার বিনিময়ে রাইসুল ইসলাম তাকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জাল কাগজপত্র সরবরাহ করেছে। এই ঘটনায় পলাতক আসামি রাইসুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখে মতিহার থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে ৮ আগস্ট সোয়া ২টায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার সহায়তায় দর্শনার মোড় এলাকা থেকে পলাতক আসামি রাইসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মতিহার থানায় জালিয়াতি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।