নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। রাত ২:৪২। ৫ জুলাই, ২০২৫।

রাবিতে দরপত্র বাক্স খোলার আগেই ক্যালেন্ডার বিতরণ শেষ

জুলাই ৪, ২০২৫ ৮:৫৩
Link Copied!

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের দেয়াল ও টেবিল ক্যালেন্ডার মুদ্রণের কাজে টেন্ডার প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, দরপত্র বাক্স খোলার আগেই ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ ও বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার এই কাজটি একজন ‘পছন্দের’ ঠিকাদারকে আগেই দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, দরপত্র আহ্বানের পর নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার বাক্স খোলার কথা থাকলেও তা এখনো খোলা হয়নি। অথচ এরই মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে ক্যালেন্ডার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন ক্যালেন্ডার মুদ্রণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে জনসংযোগ দপ্তর। দরপত্র জমার শেষ সময় ছিল ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টা। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ওই দিন দুপুর ১২টায় টেন্ডার বাক্স খোলার কথা ছিল ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে। কিন্তু আজ অবধি সেই বাক্স খোলা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, সাধারণত দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয় এবং পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার জন্য সবার সামনে কোষাধ্যক্ষ দপ্তরে সম্পন্ন হয়। এবারে সেই নিয়ম ভেঙে আগেই মুদ্রণ সম্পন্ন করে ক্যালেন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—এক দিনে এত বিশাল মুদ্রণ কাজ কীভাবে শেষ করা সম্ভব? বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক (অব.) মতিয়ার রহমান বলেন, ‘নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে তারপর মন্তব্য করব।’ দরপত্র প্রক্রিয়ার ধীরগতির বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘প্রতি বছর জুলাই মাসের শুরুতেই ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়। এবার দরপত্র আহ্বান ও কাজ দেওয়ার সময় অনেক দেরিতে হয়েছে। জনসংযোগ দপ্তরকে একাধিকবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা সময়মতো সাড়া দেয়নি। শেষমেশ ৩০ জুন দরপত্র জমা নেওয়া হলেও সেই বাক্স এখনও আমাদের দপ্তরেই সিলগালা অবস্থায় পড়ে আছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমি বর্তমানে রাজশাহীর বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি দেখব এবং পরে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’ এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।