রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা থেকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক সাবেক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগকারী আজমল হোসেন ওই বিভাগের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ২০০৫ সালের স্নাতক এবং ২০০৬ সালের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলকে শর্ত হিসেবে যুক্ত করেন, যা আমার প্রতি এক প্রকার অবিচার ছিল। আমি এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আমার পক্ষে নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি দিলে সেখানে বলা হয়, পূর্বের আবেদনকারীদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম থেকে সপ্তম মেধাস্থান পর্যন্ত প্রার্থীদের যোগ্য ঘোষণা করা হয়। আমি এই শর্ত পূরণ করলেও আমাকে ভাইভা কার্ড পাঠানো হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ বলেন, পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আজমল হোসেনের আবেদনটি তখন গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরবর্তীতে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে যখন বলা হয় আগের আবেদনকারীদের নতুন আবেদনের প্রয়োজন নেই, সেটি কেবল বৈধ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল।
তিনি বলেন, যেহেতু তার পূর্বের আবেদনটিই বাতিল হয়েছিল, তাই সেটি নতুন প্রক্রিয়ায় গৃহীত হয়নি। অন্যদিকে, নতুন বিজ্ঞপ্তির শর্ত তিনি পূরণ করলেও সেই অনুযায়ী নতুন করে কোনো আবেদন করেননি। এ কারণেই তাকে ভাইভায় ডাকা সম্ভব হয়নি।