নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শুক্রবার। সন্ধ্যা ৭:৪৮। ২৩ মে, ২০২৫।

রাবির সেই শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার

মে ২৩, ২০২৫ ১:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : আপত্তিকর অবস্থায় আটকের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও অভিযুক্ত ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন।

তিনি জানান, একইসঙ্গে ঘটনা অধিকতর তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী বিভাগের কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের একাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত মতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে যেমন হতে পারে বাংলাদেশ একাদশ

এর আগে গত ১১ মে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষক এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক এবং দুই শিক্ষার্থী।

পরে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষক দাবি করেন, ভিডিও প্রকাশ না করার জন্য দুজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক, একজন সাবেক সহসমন্বয়ক ও একজন ছাত্র তিন লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করে ওই ছাত্রীও একই দাবি করেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে সাজ্জাদ হোসেন সজীব ও সিরাজুল ইসলাম সুমন নামের দুই সাংবাদিক দাবি করেন, তারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন।

আরও পড়ুনঃ  নওগাঁয় আম সংগ্রহ শুরু, ৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা

যদিও অভিযোগ ওঠার পর তারা চাকরি হারিয়েছেন। সজীব কালবেলা ও সুমন খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। দুজনকেই প্রতিষ্ঠান দুটি অব্যাহতি দিয়েছে। সুমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সহসভাপতি ও সজীব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসার পর সংগঠন থেকেও তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে গত ২০ মে নগরের মতিহার থানায় সাবেক সহসমন্বয়ক, দুই সাংবাদিকসহ চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন। দুই সাংবাদিক ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- আইবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব। টাকা দেওয়া নিয়ে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ ও নাজমুস সাকিবের একটি কলরেকর্ডও ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে পিটিয়ে হত্যায় ২ জন গ্রেপ্তার

পরে ২১ মে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা অভিযুক্ত ছাত্রী-শিক্ষক এবং চাঁদা গ্রহণকারী চার শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি করেন। পরদিনই সিন্ডিকেট সভায় শাস্তি পেলেন অভিযুক্ত শিক্ষক-ছাত্রী।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।