স্টাফ রিপোর্টার : ‘এরা তো ডাকাত, রাতের বেলা চুরি-চামারি করে, মারামারি করে আর দিনের বেলায় চিকিৎসা নিতে আসে’। এদের চিকিৎসা হবে না,এমন মন্তব্য করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় এঘটনা ঘটে। এতে রোগী ও তার সঙ্গে থাকা মা হতবিহব্বল হয়ে পড়েন।তবে ওই চিকিৎসকের নাম জানা যায়নি।
রোগীর নাম নয়ন (১৭)। তিনি পবার বেড়পাড়া এলাকার অটোচালক মাসুম আলীর ছেলে।
নয়নের বাবা মাসুম আলী ছেড়া কাগজপত্র নিয়ে এসে অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার প্রতিবেশির হামলায় তার ছেলে নয়ন জখম হয়। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
পরের দিনও তার চিকিৎসা করা হয়। তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাউন্ডে এসে এক ডাক্তার হঠাৎ করেই রোগীর ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।
কারণ জানতে চাইলে রাগান্বিত হয়ে রোগীর মাকে বলেন ‘এরা তো ডাকাত, রাতের বেলা চুরি-চামারি করে, মারামারি করে আর দিনের বেলায় চিকিৎসা নিতে আসে’। এদের চিকিৎসা হবে না, বলে তিনি অন্য রোগীর কাছে চলে যান।
এদিকে রোগীর কাগজপত্র ছিড়ে ফেলায় বিপাকে পড়েন রোগী ও সঙ্গে থাকা মা-বাবা। তবে তারা চিকিৎসকের নাম জানাতে পারেননি।
মাসুম আলী অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে তিনি পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেবেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত জানা যায়নি।
তবে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এফএম শামিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি অবগত নই। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তিনি এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীকে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।