নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। রাত ১২:৫৮। ১০ মে, ২০২৫।

রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি: সন্দেহজনক নানা-নানী আটক

অক্টোবর ১০, ২০২৪ ৫:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির নানা ও নানী রাজপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে আচরণ ‘সন্দেহজনক’ হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

সারারাত থানাতেই ছিল শিশুর নানা-নানী। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের ছাড়া হয়নি। পুলিশের দাবি, শিশুর বাবা আসলে এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তাদের আটক করা হয়নি। নবজাতকটির বাবা এলে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নানা-নানী থানায় মামলা করার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের থানায় রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, শিশুটির বাবার নাম সুমন মিয়া। তার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর গ্রামে। সুমনের স্ত্রীর নাম মনি খাতুন (১৮)। তার বাবার বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে। সন্তান প্রসবের জন্য গত ৪ অক্টোবর মনিকে রামেক হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর গত রোববার মনি খাতুন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চাটির জন্মের পর ওজন ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এ জন্য বাচ্চাটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার অজ্ঞাত এক নারী মাস্ক পরা অবস্থায় বাচ্চার মাকে সন্তানের ভালমন্দ বিষয়ে খোঁজ নেন। তখন বাচ্চার মা বাচ্চার সমস্যার কথা ওই নারীকে জানান। ওই নারী তাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, বাইরের একটি ক্লিনিকে ভালো ডাক্তার আছে। সেখানে দেখালে তার বাচ্চা ভালো হয়ে যাবে। এ বিষয়ে নবজাতকের নানীকে জানালে তিনি বাচ্চার সুস্থতার জন্য ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন।

মনি খাতুন জানান, ওই নারী তার মাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাচ্চাদের চিকিৎসা ও টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তার মা রুমি বেগম বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বাচ্চার মাকে বলেন, ‘বাচ্চার গরম লাগছে। বাইরে থেকে বাতাস খাইয়ে নিয়ে আসি।’ এই বলে তার ছেলেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত ওই নারীর কোলে তুলে দেন। এরপর থেকেই বাচ্চার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বুধবার রাতে এ বিষয়ে নবজাতকের নানা হাসান আলী ও নানী রুমি বেগম রাজপাড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করতে যান। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ার কারণে পুলিশ তাদের আটক রাখে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আটকের বিষয়টি সেরকম না। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক ছিল। ওই নারীর কাছ থেকে তারা কিছু টাকাও নিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।