অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝাপোরিজ্জিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে শনিবার রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
এছাড়া রুশ হামলায় ঝাপোরিজ্জিয়ায় ২ জন আহত এবং প্রদেশটির সংলগ্ন বন্দরশহর ওডেসায় ২ জন নিহতও হয়েছেন। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেল টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝাপোরিজ্জিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ইভান ফেদেরভ।
টেলিগ্রাম পোস্টে ফেদেরভ বলেন, “শনিবার রুশ বাহিনীর রাতভর হামলায় ঝাপোরিজ্জিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রদেশের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন। এছাড়া প্রদেশের অন্তত ২ জন আহত এবং ঝাপোরিজ্জিয়ার সংলগ্ন ওডেসায় ২ জন নিহত হয়েছেন রুশ হামলায়। আমাদের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী এবং ক্রুরা কাজ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি যত শিগগির সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার।”
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ সাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদনকে ঘিরে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেনা অভিযান শুরুর ৮ মাসের মাথায় ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডের চার প্রদেশ দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন দখল করে রুশ বাহিনী। এই চার অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রেও অন্তর্ভুক্ত করেছে রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে এসব অঞ্চল ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ফলে এই চার অঞ্চলে নিয়মিত রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সংঘাত চলছে।
তবে অন্য তিন প্রদেশের তুলনায় ঝাপোরিজ্জিয়ায় সংঘাত হচ্ছে অনেক বেশি। প্রায় প্রতিদিন ঝাপোরিজ্জিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে রুশ বাহিনী। রোববারের টেলিগ্রাম পোস্টে ফেদেরভ জানিয়েছেন, শনিবার ঝাপোরিজ্জিয়ার ১৮টি স্থানে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
সূত্র : রয়টার্স

