নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ সোমবার। সকাল ১১:১৮। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে লজ্জা লাগে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ১১:১৫
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, যন্ত্রাংশ তৈরি ও যুক্তকরণে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের, যারা এখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাচ্ছে। আরেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড, যাদের গাড়ি বানানোর সক্ষমতা থাকা দরকার ছিল, তারা এখন শুধু গাড়ির ফিল্টার বানানোর চুক্তি করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেখে লজ্জা লাগে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনে ‘রোড টু মেড ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড অ্যাগ্রো মেশিনারি ফেয়ার ২০২৫’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে পণ্য উৎপাদনে আমাদের যে বৈচিত্র্য ছিল, এখন সেটাও নেই। ‘অ্যান্টি ম্যানুফ্যাকচারিং বায়াস’ হয়ে গেলো এ জাতি। আমরা একদম পিছিয়ে গেলাম।

আরও পড়ুনঃ  শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধের পদক্ষেপে ইইউ প্রধানের সমর্থন

তিনি বলেন, যেখানে দেশে স্বাধীনতার পূর্বে অনেক বড় বড় শিল্প ছিল। এখন আমরা প্রতিষ্ঠান দিয়ে বছরে চার-পাঁচ লাখ মোটরসাইকেল বানাচ্ছি, কিন্তু বাস্তবে এখনো একটাও ইঞ্জিন বানাতে পারিনি। বিশ্বে যেখানে ড্রোন ও রোবট দিয়ে কৃষির চাষাবাদ হয়, তখন আমরা পাওয়ার টিলার আর কম্বাইন হারভেস্টারে পড়ে আছি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আসলে আমাদের একটা পরিষ্কার মডেল দরকার। ব্যয়ের উদ্বৃত্ত তৈরি করা দরকার। শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গেলে ‘স্ট্যান্ডারাইজড’ করতে হবে। সাময়িক সময়ের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করে নিজেদের শিল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। একটা পরিষ্কার টার্গেট নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  বাগমারায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত

তিনি বলেন, যদি আমার বাবার জেনারেশনে ফিরে যাই, ওই সময়ের জেনারেশনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচুর উদ্যোগ দেখেছি, যা এখন নেই। কারও তেমন কিছু করার আগ্রহ নেই। যাদের সম্পদ ও সক্ষমতা আছে, তাদের হয়তো ভোগের প্রতি মহা আগ্রহ। বরং কোনো নতুন উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য তাদের ১০১টি অজুহাত রয়েছে।

এ সময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা গত ৩০ বছর ধরে রেমিট্যান্স আর পোশাক নিয়ে এগিয়েছি। তবে এসব আর অর্থনীতির মূল চালকের শক্তিতে থাকবে না। নতুনভাবে এখন কৃষি, এসএমই ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অর্থনীতির মূল চালকের জায়গায় এসব খাত লালন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  জবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতনী নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ ছাত্রদলের সুমন সরদার

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐকমত্যের মধ্যে গড়ে তোলা অর্থনীতির দিকনির্দেশনা। রাজনৈতিক ঐকমত্য কিংবা এলডিসি হবে কি না সেটা সবচেয়ে গুরুত্বের নয়, আমাদের একটা ন্যাশনাল মুড দরকার।

তিনি বলেন, একটু একটু করে আমরা এগোচ্ছি- এগুলো বললে হবে না, এখন আমাদের দৌড়াতে হবে। আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের আলোচনা সব সময় খণ্ডিত। সেটা কর্মসংস্থান, এসএমইবান্ধব নয়। পরিষ্কার দিকনির্দেশনা নেই।-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।