নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। সন্ধ্যা ৬:৪০। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

শার্শা উপজেলায় আঁশের দাম কমলেও পাটখড়ির দাম আকাশছোঁয়া

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ৪:৫৫
Link Copied!

মনির হোসেন, বেনাপেল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোলে এলাকায় এ বছর সোনালী আঁশ পাটের ফলন ভালো। হলেও শ্রমিক সংকট ও অধিক মজুরি কৃষকদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাট কাটা থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানোর প্রতিটি ধাপেই শ্রমিকদের উচ্চ মজুরি দিতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে ভালো ফলনের আনন্দেও মিশেছে দুশ্চিন্তার ছাপ।

কৃষকদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাটের দাম কিছুটা কম। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খরচও অনেক বেড়েছে। এতে কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকে পাটকাঠি কেনাবেচাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। এতে নতুন কর্মসংস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  যশোর-কলকাতা রোডে মোটরসাইকেল-ট্রাক সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ১

উপজেলার কৃষকরা জানান, দূর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাটকাঠি কিনে নিচ্ছেন। এবং ভাল দাম দিচ্ছেন,বর্তমানে এক মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়। যেখানে এক সময় ১২০থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হতো। আর পাটকাঠি তাদের প্রকৃত লাভের মুখ দেখাচ্ছে।

কৃষকেরা পাট ও পাটকাঠি শুকিয়ে ঘরে তুলার ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এখন পাটকাঠি যত্ন করে মজুদ করছেন। এই সময় পাটকাঠি প্রধারত গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের ঘরের বেড়া ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হতো। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে এটি এখন অর্থ কারী পূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে পাটকাঠি বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। স্থানীয় চাষিরা পাটের উপজাত এই পাটখড়ি এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

তবে এ বছর আশার আলো জুগিয়েছে পাটখড়ি। গত বছর যেখানে প্রতি আঁটি পাটখড়ি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এ বছর সেই আঁটির দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। আঁশের দামে ক্ষতি হলেও পাটখড়ি বিক্রি করে কিছুটা সান্ত্বনা পাচ্ছেন কৃষকেরা।

পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ থাকায় কৃষকেরা তুলনামূলকভাবে সুবিধা পেয়েছেন। হাকর, খাল, বিল, বেতনা, কেউ ছোট ডোবায় আবার কেউ নিজস্ব জমিতে পাট কেটে জাগ দিয়েছেন।

ডিহি ইউনিয়নের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঠিকভাবে হিসাব করলে দেখা যায়, ন্যায্য দাম আমরা পাইনা। উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ফলন ভালো, দামও সন্তোষজনক। তবে কতদিন এ দাম থাকবে, তা নিয়ে শঙ্কায় আছে।

আরও পড়ুনঃ  আবীরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য, মিমিকে যে কথা শুনিয়ে দেন অভিনেতা

উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, এই বছর সোনালী আঁশ (পাটের) ফলন ভালো হয়েছে। এই উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে অর্থবছরে২০২৪-২৫মোট ৫৪৬৫হেক্টর জমিতে,চলতি বছরে ২০২৫-২৬ মোট ৫৯২৯=হেক্টর, এই বছরে বেশি ৪৬৪ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়। আগের বছর তুলনায। গত এক দশকে ধরেই এই জ্বালানির বাজার বারছে। অনেকে পাটকাঠি কেনাবেচাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। এতে নতুন কর্মসংস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এই বছর পাট জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ থাকায় কৃষকেরা তুলনামূলক ভাবে সুবিধা পেয়েছেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।