মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার ১৬অক্টোবর সকাল ১১ টায় সময় শার্শা উপজেলায় ও বেনাপোল পৌর সভার আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে যশোরের শার্শা উপজেলার এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘লাগাতার কর্মবিরতি’ মানববন্ধন চলছে। উপজেলার ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৬টি মাদ্রাসায় ক্লাস বর্জন করে সোমবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘লাগাতার কর্মবিরতি’ চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শাহাজান কবীর।
বাগআঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খান হাসান আরিফ আহম্মেদ লিটন বলেন,আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির প্রতি উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমর্থন রয়েছে।
তবিবর রহমান সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আয়ুব হোসেন বলেন,মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতার দাবিতে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার থেকেই আমরা ক্লাস বর্জন করেছি।
বেনাপোল মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আমিনূল ইসলাম বলেন,“আমাদের মাদ্রাসায় কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।উপজেলার সকল মাদ্রাসায় ক্লাস বন্ধ আছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারীরা উপস্থিত আছেন।”
শার্শা উপজেলার বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা পাকিজা আক্তার।
শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা এবং কর্মচারী ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মহিলা আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর কবীর।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।