নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। রাত ৩:৫৭। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু বাংলাদেশের

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ২:৩২
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব টপকে বাংলাদেশ পৌঁছেছিল সুপার ফোরের দরজায়। এরপর শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা, প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শ্রীলঙ্কা। আর এই ম্যাচে লঙ্কানদের ৪ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরের শুভসূচনা করল বাংলাদেশ দল।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। তবে দলীয় ১ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিম কোনো রান না করেই বিদায় নেন। পরবর্তীতে সাময়িক সেই চাপ সামলে নেন সাইফ হাসান এবং লিটন দাস। একসময় ৫০ রানের জুটিও পার করেন এই দুই ব্যাটার।

তবে দলীয় ৬০ রানে লিটন ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। এরপর সাইফ একাই চার ছক্কার ইনিংস খেলতে থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। একসময় সাইফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তখন ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন হৃদয়। ৪৫ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেন সাইফ। এরপর ইনিংসের বাকি সময় হৃদয় লড়াই করেছেন। সবশেষ দুই ম্যাচে রান করতে না পারা এই ব্যাটার এদিন তুলে নেন অর্ধশতক। তবে জয়ের ১০ রান বাকি থাকতে ব্যক্তিগত ৫৮ রান করে ফিরে যান হৃদয়। পরে শামীম পাটোয়ারী ১২ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তবে অন্য প্রান্তে ছোট একটি নাটকই বয়ে যায় ততক্ষণে।

আরও পড়ুনঃ  ফারিয়া তুমি সত্যিই জিতেছো : পিয়া জান্নাতুল

ইনিংসের শেষ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল। তাতে জয় পেতে কিছুটা সংশয় হলেও ১ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। লঙ্কানদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং দাসুন শানাকা।

এর আগে, দিনের শুরুতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে তারা। দলের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন দাসুন শানাকা। শুরুটা অবশ্য বেশ আক্রমণাত্মক ছিল লঙ্কানদের। তবে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।

আরও পড়ুনঃ  পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, তীব্র যানযট

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তাসকিনের শেষ বলে মিডল ও লেগ স্টাম্পের ওপর থেকে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা, টাইমিং ভালো না হওয়ায় ডিপ মিডউইকেটে সাইফ হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে ২২ রান করেন এই ওপেনার।

নিশাঙ্কা ফিরলেও পরে আরেক ওপেনার মেন্ডিস রানের চাকা সচল রাখেন। এরপর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। তবে পাওয়ার প্লে শেষে রানের চাকায় লাগাম দেয় বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে চতুর্থ বলে শেখ মেহেদিকে সুইপ করতে যান মেন্ডিস কিন্তু টপ এজ হয়ে বল উপরে উঠে যায়, ডিপ ব্যাকওয়াড স্কয়ার লেগে এবারও বল তালুবন্দি করেন সাইফ।

আরও পড়ুনঃ  রাকসু-চাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পরে কামিল মিশরা-কুসাল পেরেরারা সুবিধা করতে পারেনি। এই সময়ে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে বাংলাদেশ। অবশ্য শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেন দাসুন শানাকা ও চারিথ আসালঙ্কা। বিশেষ করে শানাকা রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার আসালঙ্কা ১২ বলে করেন ২১ রান। তাতে দেড়শ পেরিয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া, শেখ মেহেদি ২টি ও তাসকিন আহমেদ ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।