ডেস্ক নিউজ, সময়ের কথা ২৪: সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তৃতীয় ধাপের তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঈদগাহ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ভাঙ্গা উপজেলার সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে, ইতালীর জেনোভা শহরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলায় যুক্ত করে পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়- ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুরোনো সীমানা বহালের দাবীতে মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লার অনুরোধে আগামী শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম এ ঘোষণা দেন। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে হয়রানীর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে- পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে ইতালীর জেনোভা শহরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। এ সময় মো. শাকিল মুন্সীর সভাপতিত্বে ও পারভেজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইতালীর জেনোভা শহরের বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি স্বজন ঢালী। আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলায় যুক্ত করে পুরোনো সীমানা বহালের দাবি জানান বক্তারা। এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন সুমন শিকদার।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-৪ আসনটি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। আর, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে ছিল ফরিদপুর-২ আসন। কিন্তু, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ফরিদপুর-৪ আসনের হামিরদী ও আলগী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ করা হয়। এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেন আন্দোলনকারীরা। গত ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে টানা তৃতীয় দিনের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ, লোকাল ও হাইওয়ে থানায় হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বহালের জন্য ইসিকে (নির্বাচন কমিশন) চিঠি দিয়েছেন।