অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ফুটবল দলের হোম ম্যাচে সাদা জার্সি সপ্তাহ দু’য়েক আগেই উন্মোচন হয়েছে। ফুটবলপ্রেমীরা ইতোমধ্যে সেই জার্সি কিনেছেন। অনেকে গত পরশু ঢাকা স্টেডিয়ামে হোম জার্সি পড়ে গ্যালারিতে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশ ভুটানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অ্যাওয়ে ম্যাচের লাল জার্সি পড়ে খেলেছে।
হোম ম্যাচে প্রায় সকল দেশ/ক্লাবই হোম জার্সিই পড়ে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অ্যাওয়ে জার্সি পড়ার কারণ সম্পর্কে দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘১০ জুন বাংলাদেশ সাদা হোম জার্সি পড়েই খেলবে। সেই ম্যাচের জার্সিতে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নাম থাকবে। এএফসি’র অফিসিয়াল ম্যাচে জার্সির নাম্বার থাকে ১-২৩ পর্যন্ত। ৪ জুন ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন ২৬ জন। নাম ও নাম্বার যেন পরিবর্তন না করতে হয় এজন্য ১০ জুনের ম্যাচেই হোম জার্সি পড়া হবে।’
২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জার্সি নিয়ে শেষ দিনে বেশ বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। সাধারণত বিদেশ সফরে ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড নিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেখানে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ভারতে নিয়েছিলেন ২৪ জন। এক জন খেলোয়াড় বাদ দেয়া নিয়ে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। ম্যাচের দিন একেবারে শেষ মুহুর্তে কাজেমকে বাদ দেয়ায় জার্সির নাম ও নাম্বার পরিবর্তন করতে দৌড়াতে হয়েছে টিম ম্যানেজারকে।
ভারত ম্যাচে হামজা-জামালদের জার্সির পেছনে নাম্বারের সঙ্গে নাম থাকলেও গত পরশু ভুটান ম্যাচে শুধু নাম্বার ছিল। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ২৬ জন প্রাথমিক ক্যাম্পে থাকলেও একাদশ ও সাবস্টিউট হিসেবে কারা নামবেন সেটা কোচের পরিকল্পনায় অনেকটাই চূড়ান্ত। ২৩ জনের সবার মাঠে নামার সুযোগ নেই। সেই হিসেবে নাম ছাড়া শুধু নাম্বার দিয়েও সাদা হোম জার্সি পড়ে খেলার সুযোগ ছিল ভুটান ম্যাচে। এই প্রসঙ্গে ম্যানেজারের মন্তব্য, ‘ভুটান সাদা জার্সি এনেছিল। ১০ জুন ম্যাচই হোম জার্সি সমর্থকদের সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা।’
গতকাল সকালের পর থেকে বাংলাদেশ দলের হোম জার্সি নিয়ে ফটোশুট হয়েছে। হামজা, সামিতরা এতে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ করে সামিত এসেছেন ৪ তারিখ ম্যাচের দিন সকালে। হোম জার্সি পরিহিত হামজা, সামিতদের ছবি বাফুফে ও তাদের কিট পার্টনার সামাজিক এবং নানা মাধ্যমে ব্যবহার করবে এজন্য হয়তো সেদিন অ্যাওয়ে জার্সি পড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে হোম জার্সিতে ভুটান ম্যাচে খেললে হামজা-জামালদের জন্য একটা ট্রায়াল হয়ে যেত।
বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচের ম্যাচ কমিশনার ছিলেন বাফুফে ও সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। ম্যাচের আগের দিন ম্যাচ কমিশনারের সভায় মূলত কোন দল কোন জার্সি পড়বে সেটা নির্ধারণ হয়। বাংলাদেশের জার্সি নিয়ে ম্যাচ কমিশনার আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘হোম টিমের প্রাধান্য থাকে। তারা চাইলে হোম ম্যাচে অ্যাওয়ে জার্সিতে খেলতে পারে।’
আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্টে পাঁচ জনের বেশি ফুটবলার বদলের নিয়ম নেই। প্রীতি ম্যাচে অবশ্য দুই দলের সম্মতিতে পাঁচের অধিক খেলোয়াড় বদল করা যায়। বাংলাদেশ ও ভুটান দুই দলই ১০ জুন এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাই দুই দলের সম্মতিতে ৬ জন খেলোয়াড় বদলের বিধান রাখা হয়। পাশাপাশি কোনো দলের কোনো ফুটবলার কনকাশন হলে বিপক্ষ দল আরেকজন অতিরিক্ত খেলোয়াড় বদলের সুযোগ পাবে এমন সিদ্ধান্তও হয়েছিল বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচে। যদিও সেটা প্রয়োজন পড়েনি। দুই দলই ৬ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। বাফুফে প্রদত্ত খেলোয়াড় তালিকায় ভেন্যু ছিল কমলাপুর স্টেডিয়াম। ম্যাচ কমিশনারের সামারিতেও প্রথমে ভেন্যুর নাম ভুল ছিল। পরবর্তীতে সেটা সংশোধন করে জাতীয় স্টেডিয়াম করা হয়।