নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শুক্রবার। সকাল ৬:১৪। ১ আগস্ট, ২০২৫।

সমৃদ্ধির পথে যেতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

জুন ৩, ২০২৫ ১:৩৫
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে জোরালো জাতীয় ঐকমত্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা আমাদের ঐক্য জোরদার করি… যাতে আমরা সামনে একটি পথ খুঁজে পাই এবং দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারি।’ আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্য কমিশনের এক সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ঐক্য বজায় রাখা।

তিনি বলেন, ‘ঐক্য রক্ষা ও সুদৃঢ় করা সম্পর্কে আপনাদের পরামর্শ শুনলাম।’

আরও পড়ুনঃ  চালককে পাশে বসিয়ে ট্রাক চালাচ্ছিলো হেলপার এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু!

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সংলাপ চলবে যাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জুলাই সনদ আরও সমৃদ্ধ করা যায় এবং কোন কোন বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি’ তা দেশবাসী দেখতে পায়।

সকাল বেলা উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আজ দেশের কল্যাণের জন্য এখানে সমবেত হয়েছি…আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি খুব সুন্দর জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার আশা করছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ  প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও লড়াই করেছেন: তারেক রহমান

কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি খুব খুশি যে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে এই সংলাপে অংশ নিয়েছেন।

কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ২০২৫ সালের আগস্টে শেষ হওয়ার কথা থাকায় আগামী জুলাইয়ের জুলাই সনদ ঘোষণা করতে কমিশন কাজ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’

সোমবার (২ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।

আরও পড়ুনঃ  ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অংশীদাররা সংলাপে অংশ নেন।

এই কমিশন সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সরকারি প্রশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশন সংক্রান্ত পাঁচটি মূল সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা ও চূড়ান্ত করার জন্য গঠিত হয়েছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।-বাসস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।