স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম মাসউদ আখতার বলেছেন, সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশকে ধারাবাহিকতাই বলা যায়। সবগুলোর ইস্যু একই ছিল। সাতচল্লিশকে রিপিট করতে হয়েছে একাত্তর দিয়ে, আবার একাত্তরকে রিপিট করতে হয়েছে চব্বিশ দিয়ে। এর দ্বারা বোঝা যায় যে, সমস্যাগুলো সমাধান হচ্ছে না।
আজ বিকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে রাজশাহী পিআইডি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী পিআইডির সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মাসউদ বলেন, চুয়ান্ন বছরের বাংলাদেশকে আর শিশু বলার সুযোগ নেই। আমরা যতদূর এগিয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। অত্যাচার-নির্যাতন কোনো সময় কমে গেলে আবার তা বিস্তৃত হয়েছে এবং আমরা ইনসাফ ও ন্যায় বিচারের সমাজ পাচ্ছিনা। মানুষ যে সামাজিক স্তরেরই হোক না কেন তার মানবিক মর্যাদা থাকতে হবে। সে একটা স্বাধীন মর্যাদার মধ্যে বসবাস করছে এই বোধটা তার মধ্যে অনুভূত হতে হবে।
তিনি বলেন, চুয়ান্ন বছরে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমরা শক্তিশালী করতে পারলাম না। এটা করা যেত না এমন না, এখানে মেধাবী ও যোগ্য লোক ছিল। তাদেরকে কাজটি করতে দেওয়া হয়নি। যদি ক্ষমতা জনস্বার্থে ব্যবহার করা হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হয়, ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মৌলিক কাজগুলো করতে আমরা সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্ররা যেকোনো ভালো সুযোগ পেলে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়। এটা নির্দেশ করে যে তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা আছে। এটা চুয়ান্ন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে যারা প্রশাসন পরিচালনা করেছেন তাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা। তাদের সাফল্যের খতিয়ান আমরা শুনতে পাই কিন্তু ব্যর্থতার বিবরণ আসে কম। শুধু সাফল্যের বয়ান দিলেই ব্যর্থতা আড়ালে থাকবে এটা হয় না। বাস্তবে আমাদের সমস্যার মধ্যে ফেলে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে কাজ খুব সামান্যই হবে।
এসময় তিনি দেশপ্রেমের স্বার্থে বিবেককে কাজে লাগিয়ে আমাদের নূন্যতম দায়িত্বগুলো পালনে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
রাজশাহী পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিআইডি ও জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।