অনলাইন ডেস্ক : নব্বই দশকের কাহিনি, অর্থাৎ আজ থেকে আরও প্রায় ৩৫ বছর আগের সময়ের কথা। তখন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজে আবির্ভাব ঘটে এমন এক স্টাইল আইকনের, যিনি আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বলা হচ্ছে বাংলা সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহের কথা। তবে তাকে শুধু ‘নায়ক’ অভিধায় বেঁধে রাখা অন্যায়ই নয়, প্রায় অসম্ভবও বটে।
তখনকার দর্শকদের কাছে সালমান শাহ ছিলেন খুব জনপ্রিয়। শুধু ভক্তরাই নয়, অন্যান্য নায়ক-অভিনেতারাও তাকে দেখতেন অনুপ্রেরণা আর আদর্শ হিসেবে। এক কথায়— সালমান শাহ ছিলেন নাইন্টিজের এমন আইকন, যাকে আজও মনে ধারণ করে রেখেছেন অসংখ্য ভক্ত।
অভিনয়ের প্রসঙ্গ আলাদা করে বলার নেই। কিন্তু তার সজ্জা ও ফ্যাশনে যে আধুনিকতার ছাপ মিলেছিল, তা পরবর্তী সময়ে বলিউডেও দেখা গেছে। অনেকের মতে, সালমান শাহ যেন ছিলেন বিনোদন জগতের টাইম ট্রাভেলার। কারণ বর্তমান নায়কদের পোশাক-আশাক ও স্টাইল যে রকম, সেই আবহ তিনি সৃষ্টি করেছিলেন আরও তিন দশক আগে।
কিন্তু হঠাৎই যেন সব থমকে যায়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মাত্র ২৪ বছর বয়সে নিভে যায় চলচ্চিত্রের এই রাজপুত্র সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী; তাই দেশের সিনেমাপ্রেমীরা আবারও স্মরণ করছেন এই কিংবদন্তিকে।
তবে জানেন কি? সালমান শাহ কখনোই সিনেমায় আসার পরিকল্পনা করেননি। ছোটবেলা থেকেই তিনি মডেলিং, গান ও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। শিশুদের টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। বহু পুরনো এক সাক্ষাৎকারে নায়ক নিজেই বলেছিলেন, “আমি কখনো ভাবিনি সিনেমায় আসব। বিষয়টা হয়েছিল একেবারেই হঠাৎ। ভেবেছিলাম মডেলিং করব, অভিনয় করব, যেটা শখের বসেই করতাম। কিন্তু প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে সিনেমায় অভিনয় করব; এটা কখনো কল্পনাই করিনি।”
তিনি আরও জানান, চলচ্চিত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত প্রথমে পরিবারের কাছে জানালে তাদের অমত ছিল। পরে অবশ্য পরিবারই অনুমতি দেয়, “ঠিক আছে, তুমি করো।”
ঢালিউডের ইতিহাসে সালমান শাহের মৃত্যু যেন এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু থেকেই রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। কেউ বলেন, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন; আবার কারও মতে, এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এখনও সেই রহস্যের জট খোলেনি।