অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন বেশ বিপজ্জনক ছিল। মার্কেটের ভেতরে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। দুই-তিন বছর আগে মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিসও।
শনিবার (২ আগস্ট) আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান।
তিনি বলেন, ভবনের নিচতলা ও চারতলাসহ বিভিন্ন ফ্লোরে অনেক লোকজন ছিল। এসব লোকজনকে বারবার বলার পরও বের হতে চাচ্ছিলেন না। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সেনাবাহিনী তাদের ভবন থেকে বের করার চেষ্টা করে। এর কারণে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। আমরা যদি সঠিক সময়ে আমাদের কাজ করতে না পারি তাহলে তো আগুন নেভানো সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় বিপজ্জনক এই আগুন নির্বাপণ করতে পেরেছি। অগ্নিকাণ্ডটা বেশ বিপজ্জনক ছিল।
আগুনে কী পরিমাণ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, আমরা দুইটা দোকানের শাটার খুলে আগুন পেয়েছি। তবে, কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখন বলা যাচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে এটা জানা যাবে।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনের ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না। এই ভবনটাকে আমরা অনেক আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম। ভবনের বৈদ্যুতিক সংযোগের তারগুলো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এ কারণে আগুনটা একদিক থেকে অন্যদিকে চলে যায়। প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এতে আগুন নেভাতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।
হতাহতের কোনো ঘটনা আছে কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, না কোনো হতাহত নেই।