স্টাফ রিপোর্টার : বাংলার রাখালরাজা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উদিত হয়েছিলো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানে চলে যান। ঠিক সে সময়ে আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতারা ভারতে পালিয়ে গিয়ে হোটেলে আনন্ত ফুর্তিতে ছিলেন। সে সময়ে জাতী যখন দিশেহারা ঠিক সে ময়ে মেয়র জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। রোববার (১ জুন) বিকেলে নগরীর ১৮ ও ১৯নং বিএনপি পরিবারের আয়োজনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, তাঁর স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে জনগণ নয় মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ কওে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি সিপাহী-জনতার হাত ধরে বাংলাদেশের মাসনভার গ্রহন করেন। এরপর তিনি এদেশের উন্নয়নের জন্য খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় সে সময়ে দেশ কৃষিতে সয়ংসম্পূর্ন হয়। সেইসাথে তিনি জনগণের কর্মসংস্থানের লক্ষে বন্ধ কলকারখানা গুলি খুলে দিয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটান। সেইসাথে কর্মসংস্থানের লক্ষে জনগণকে বিদেশে যাওয়ার পথ সুগম করেন তিনি।
মিনু আরো বলেন, দেশের মানুষ নয়মাস আগেও টিভিতে খবর দেখতো না। কারন সব চ্যানেলে হাসিনা ও তার বাবার ছবি এবং গুনকির্ত্তন করা হতো বলে। আর বিগত দিনে বিএনপি’র আমলে বেগম জিয়ার কতা শোনার জন্য জনগণ ও নারীরা উৎসুক হয়ে থাকতো। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে যদি বিএএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে আবারও দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেইসাথে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নিদের্শনার দেশ পুনর্গঠন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিনু বলেন, দেশের সংস্কার একদিনের নয়। এটা একটি চলসমান প্রক্রিয়া। তারেক রহমান যে একত্রিশ দফা দিয়েছেন তা কার্যকর করলে দেশে আর সংস্কার করার প্রয়োজন নাই। তারেক জিয়া দীর্ঘ সতের বছর ধরে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আর সেইসাথে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষে নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছেন। তিনি বলেন, রাজশাহীতে যত উন্নয়ন হয়েছে তার সকল দাবীদার হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি যা করে গিয়েছিলো সেগুলো দেখিয়েই পতিত সরকার নিজের উন্নয়ন বলে চালিয়ে দিয়ে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অতীতে এবং বর্তমানে যেভাবে বিএনপি সবার সুখে-দুখে ও বিপদে পাশে ছিলেন, শেষ দিন পর্যন্ত তারা সকল নেতৃবৃন্দ সবার পাশে থাকবে উল্লেখ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মী ও মৃত সবার রুহের মাগফিরাত এবং আত্মার শান্তি কামনা করেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। শেষে খাবার বিতরণ করা করা হয়। সভায় হাজার হাজার নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাইনেসুর রহমান তোতার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, বিএনপি নেতা মোস্তাক, শরিফ, শাহ্ মখ্দুম থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি টুটুল, শরীফ, মুন্না, সিরাজ, ভুটান।
আরো উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবক দল মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ রানা, চন্দ্রিমা থানার সাবেক আহ্বায়ক সোহান, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হাসান পরাগ, যুবনেতা হান্নান, রকি, আলতাব, সুলতান, সাইদ, সাইফুল, ফরমান সুইট, মহিরা দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জরিনা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকটে সিফাত জেরিন তুলি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুস সাদাত সান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা শহীদ, পলিটেকনিক্যাল এর ছাত্র নেতা শারাফাতসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।