নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। সকাল ১১:০৯। ১৯ জুন, ২০২৫।

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

জুন ১৬, ২০২৫ ৯:৪৪
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : সারা দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ২২ জুন থেকে শুরু হবে আবেদন, চলবে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।

সোমবার (১৬ জুন) এনটিআরসিএ তাদের ওয়েবসাইটে নতুন এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১ লাখ ৮২২টি এমপিওভুক্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি, এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ১১০টি পদ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষা বোর্ডে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে

আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়সসীমা ৪ জুন ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে, যেদিন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি, নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ফল প্রকাশের তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে থাকতে হবে। বয়স ও সনদের মেয়াদের শর্ত পূরণ না করলে প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদনকারীরা এনটিআরসিএ এবং টেলিটকের নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা। ফি জমা না দিলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রতিটি প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দক্রম অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। তবে পছন্দক্রমের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগদানের আগ্রহ থাকলে সেই অপশনও রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  তেল আবিবের আকাশে ইরান থেকে ছোড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র

গণবিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে কিংবা সে ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে তা বাতিল করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র না দেয়, তবে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিও বাতিল করা হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের দাখিল করা শূন্যপদসংক্রান্ত চাহিদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়েছে। তাই চাহিদাজনিত কোনো ভুলের কারণে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিলে এনটিআরসিএ কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।

আরও পড়ুনঃ  রাসিকের পঞ্চবার্ষিক এ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।