অনলাইন ডেস্ক : ইউরোপের তিন দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে পরমাণু সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৫ জুলাই শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে শুরু হতে যাচ্ছে এই সংলাপ।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন প্রেস টিভি সোমবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। উল্লেখ্য, ইউরোপের পরমাণু শক্তিধর এই তিন দেশ একত্রে ই-থ্রি নামেও পরিচিত।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি’র সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কয়েক জন রাষ্ট্রদূত। তারা আরাগচিকে বোঝাতে সক্ষম হন যে ইরানের জন্যে এখন কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনের ভিত্তিতে একটি পরমাণু চুক্তিতে আসা জরুরি। যদি ইরান তাতে ব্যর্থ হয়— সেক্ষেত্রে জাতিসংঘ ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। আর জাতিসংঘের স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া শুরু করলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে ইরান। ওই বৈঠকের পরে ইউরোপের প্রভাবশালী তিন দেশের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মত হয় ইরান।
এর আগে গত মে মাসের শেষ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিল ইরান। সেই সংলাপের মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সমঝোতামূলক চুক্তি সম্পাদন।
কিন্তু সংলাপ চলমান থাকা অবস্থাতেই গত ১২ জুন রাতে ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরানও। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ২৫ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে যায় ইরান ও ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির পর ইরানকে ফের সংলাপে আসার আহ্বান জানান ট্রাম্প; কিন্তু এবার বেঁকে বসে তেহরান। আব্বাস আরাগচি স্পষ্টভাবে বলে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইরান আস্থার সংকটে ভুগছে, কারণ ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপ চলার সময়েই হামলা করেছে ইসরায়েল।
এদিকে জাতিসংঘ থেকে বার বার সমঝোতা বৈঠকে আসার জন্য তাগাদা দেওয়া হয় ইরানকে, তবে তবুও এতদিন নিজের অবস্থানেই অনড় ছিল ইরান।
এমন পরিস্থিতিতেই শুক্রবার ইরানকে সংলাপে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন এবং ইইউ; ইরান তাতে সাড়াও দিয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি