স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মালিকানাধীন সোনাদিঘিতে ৫০০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের মাছ ধরতে দেওয়া হচ্ছে। অথচ জানেই না রাসিক। যারা টিকিট বিক্রি করছেন, তারা পার্শ্ববর্তী মহল্লার লোকজন বলে জানা গেছে। শুক্রবারও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বেশ কিছু সৌখিন মৎস্য শিকারীকে বড়শি ফেলে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
এই দিঘির নামেই রাজশাহী শহরের এই এলাকাটির নাম হয়েছে সোনাদিঘি। এটি শহরের একেবারেই প্রাণকেন্দ্র। প্রায়ই এখানে টিকিট বেচে মাছ ধরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কোনো খোঁজই পায়নি নগর সংস্থা। শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এই দিঘি দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে ইজারাও দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার দুপুরে বড়শি ফেলে মাছ ধরছিলেন নগরের রাজারহাতা মহল্লার সাগর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার তিনটা বড়শি। আমি এখনও কোনো মাছ ধরতে পারিনি।’ তবে ৪ কেজি ওজনের একটি বোয়ালসহ কয়েকটি মাছ শিকারের কথা জানালেন হেতেমখাঁ এলাকার শিকারী নাজমুল ইসলাম।
সকাল থেকে বসে থেকেও কোনো মাছ পাননি বলে জানালেন হেতেমখাঁ গোরস্থান এলাকার বাসিন্দা মো. খোকন। তিনি জানান, এখানে প্রায়ই তারা মাছ শিকারে আসেন ৫০০ টাকার টিকিট কেটে।
একই কথা জানালেন রাজারহাতা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে ছয় দিন কাজ-কাম করি, একদিন মাছ ধরি। কখনো নদীতে, কখনো পুকুরে।’
যারা টিকিট বিক্রি করছেন, তাদের দাবি, তারা এক হাজার টাকা করে তুলে দিঘিতে মাছ ছেড়েছেন। শুক্রবারও ১০ হাজার টাকার সিলভার কার্প মাছ ছেড়েছেন। সপ্তাহে একদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে আশেপাশের মহল্লার মানুষকে সময় কাটানোর জন্য বড়শি ফেলতে দেন।
তবে ইজারা না নিয়ে এভাবে টিকিট বিক্রির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা আবু নূর মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজের জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই সোনাদিঘি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। সেখানে কারও মাছ ছাড়ার দাবি করার যৌক্তিকতা নেই।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘সোনাদীঘি কাউকে ইজারা দেওয়া নেই। সেখানে মাছ ধরার বিষয়টা আপনার মাধ্যমেই জানলাম। দেখি, আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টা দেখছি।’#