অনলাইন ডেস্ক : দলীয় ৫৮ রানের মাথায় টপ-অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছিল বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল শত রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে ইফতিখার ইফতি ও মঈনের ব্যাটে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে দারুণ প্রতিরোধের পর দ্বিতীয় দিনেও দাপট দেখালেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। তাতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ৩৭১ রানের বড় পুঁজি গড়েছে ইয়াং টাইগার্সরা।
টপঅর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডার ব্যাটার মঈন ৯১ রান ও ইফতিখার হোসেন সেঞ্চুরি করে আউটের পর ৭ উইকেটে ২৪২ রান করে প্রথম দিন শেষ করে স্বাগতিক দল। তবে শেষ তিন উইকেটে লোয়ারঅর্ডার ব্যাটাররা ১৩০ রানের বড় সংগ্রহ যোগ করে। তাতে আজ দেড় সেশন ব্যাটিং করে ৩৭১ রানে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক চার দিনের টেস্টের প্রথম দিনে গতকাল মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ ইর্মাজিং দল। যদিও শুরুটা ছিল এলোমেলো। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি। ওপেনার শিবলির পথ অনুসরণ করে যাওয়া আসার মিছিল শুরু করেন বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটাররাও। ফলে ৫৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। চৌধুরী রিজওয়ান ৭, অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন ১, আরিফুল ইসলাম শূন্য ও প্রীতম কুমার ২ রানে আউট হন।
ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ইফতি ও মঈন। উইকেটে সেট হয়ে ১৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিতেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতি। দলীয় ২৩৭ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মইন। ১৫টি চারে ১৫৯ বলে ৯১ রান করেন তিনি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১১ বল আগে সাজঘরে ফেরেন ইফতিও। ১৪টি চারে ২৯১ বলে ১০৯ রান করেন তিনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে আজ দুর্দান্ত শুরু পান দুই লোয়ারঅর্ডার ব্যাটার রাকিবুল হাসান এবং রিপন মণ্ডল। রাকিবুল ৩১ রানে আউট হলেও রিপন মন্ডল ৪৩ রানে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এ ছাড়া দশে নামা মেহেদী হাসানও ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সবমিলিয়ে ৩৭১ রানে দশ উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে মোকগাকানে ৪২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া এনটুলি ৩, মোকেয়না ২ ও ফরেস্টার ১ উইকেট শিকার করেছেন।