হেলাল উদ্দিন, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারারায় ধারাল অস্ত্র নিয়ে পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে এক ব্যবসায়ীর প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর একটি পক্ষ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঁইগাছা গ্রামে। বিবাদমান জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি। এই ঘটনায় আজ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঁইগাছা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ব্যবসায়ী এমরানের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের আলী ও তার ভাই এবাদত হোসেনের মধ্যে সাড়ে ছয় শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এই বিরোধের জেরে থানা ও আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। সম্প্রতি একটি মামলায় এমরানের পক্ষে রায় হয়। এরপর ওই জমির দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মঙ্গলবার নওশের আলী ও এবাদত হোসেনের নেতৃত্বে ১২-১৩ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ওই জমিতে থাকা ইটের প্রাচীর ভেঙ্গে দেয় এবং প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের আম, নারিকেল, মেহগনি ও জলপাই গাছ কেটে ক্ষতি করে। হামলাকারীরা এ সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এমরানের পরিবারকে বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ভুক্তভোগী এমরান বলেন, ওই জমিটি আমাদের পৈতৃক এবং ক্রয় সূত্রে মালিক। ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। আদালতে মামলা হলেও রায় আমাদের পক্ষে আসে। হঠাৎ করে প্রতিপক্ষ মনোনয়ন ঘোষণার পরের দিন আমাদের জমিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসী কায়দায়। জমিতে থাকা অনেক গাছ কর্তন সহ বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে তারা। নিষেধ করতে গেলে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর পুলিশ এসে অবরুদ্ধ আমাদেরকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন- এই ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ গত সোমবার বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর একটি পক্ষ দলবল নিয়ে জমিটি দখল করেছেন। এসময় সবার হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল।
এদিকে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, তিনি এই ধরনের কয়েকটি ঘটনার খবর পেয়েছেন। এটা কাম্য নয়।

