নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ শনিবার। রাত ১:২৯। ৮ নভেম্বর, ২০২৫।

যে কারণে কখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না মামদানি

নভেম্বর ৭, ২০২৫ ১০:১২
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির জয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনীতিতেও বড় ঘটনা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এবং নেতৃত্বে যখন যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির আধিপত্য চলছে, তখন মামদানির বিজয় সেই আধিপত্যকে রীতিমতো ধাক্কা দিয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মামদানি। ট্রাম্প ও রিপাবলিকান দলের বাধা, অপপ্রচার ও হুমকির মধ্যেই এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাট নেতা।

মামদানির বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে উচ্ছ্বাস বয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর দিকে তাকালে ব্যাপাটি আঁচ করতে পারা যায়। মামদানির অনেক সমর্থক- শুভানুধ্যায়ী ইতোমধ্যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দেখতে চান।

তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা কখনও সম্ভব নয়। কারণ এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের এক নম্বর সেকশনের দুই নম্বর ধারা। সেই ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন বা জন্মসূত্রে ওই দেশের নাগরিক হতে হবে।”

অর্থাৎ তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হন, তাহলে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতাই করতে পারবেননা।

জোহরান মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও ‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ নন। তার জন্ম ১৯৯১ সালে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় তার জন্ম। ৭ বছর বয়সে তার মা মীরা নায়ার এবং বাবা মাহমুদ মামদানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন জোহরান। তার মা এবং বাবা উভয়েই ভারতীয়। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে কিছুকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন শিশু জোহরান। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন মামদানি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সংবিধানের ১ম সেকশনের দ্বিতীয় ধারা নিয়ে এর আগে বহুবার তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু ধারাটি পরিবর্তন বা বাতিল করা সম্ভব হয়নি। কারণ এই ধারা পরিবর্তন কিংবা বাতিল করতে হলে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিবর্তন করা অত্যন্ত কঠিন এবং জটিল একটি ব্যাপার। সংবিধানের কোনো ধারা যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে সে ব্যাপারে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ— উভয়কক্ষকে এ ব্যাপারে একমত হতে হবে। এছাড়া অঙ্গরাজ্যগুলোর আইনসভা এবং স্থানীয় সরকার ইউনিউটগুলোকেও এ ব্যাপারে একমত হতে হবে।

এই পুরো ব্যাপারটি খুবই জটিল এবং প্রায় অসম্ভব। নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তাই মামদানি যতই জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হোন না কেন, বর্তমান মার্কিন সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তার নেই।

সূত্র : এএফপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।