স্টাফ রিপোর্টার : প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রাজশাহীতে মশাল মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী-৫ আসনের বিএনপির পাঁচজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকরা।
রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ বাজারের বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি মাইপাড়া বাজার হয়ে বিরালদহ মাজারের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। ঘণ্টাব্যাপি এই অবরোধে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে শতশত যানবাহন।
এ সময় নেতাকর্মীরা বলেন, দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কর্মী ও গণবিচ্ছিন্ন নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্যপ্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। যা কোনভাবেই মেনে নেবে না দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন না দিলে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হবে। কাজেই সব মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢাকায় ডেকে আলোচনা করে মনোনয়ন পুর্নবিবেচনার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চান নয়জন। তারা হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল, পুঠিয়া বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইসফা খায়রুল হক, শিল্পপতি আব্দুস সাত্তার, এ আসনের সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফার ছেলে জুলকার নাঈম মোস্তফা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার রেজাউল করীম, শ্রমিক দলনেতা রোকনুজ্জামান আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কোষাধক্ষ্য গোলাম মোস্তফা।
এদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল। এর আগে তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন।

