মুক্তার হোসেন, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাসাবাড়ী ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহার ও নতুন মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন।
রোববার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর গোল চত্বরে গোদাগাড়ী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্বে করেন নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দীন বিশ্বাস।
মানববন্ধন চলাকালীন বক্তব্য দেন পালপুর ধরমপুর কলেজের অধ্যাপক ড. ওবাইদুল্লাহ, বরজাহান আলী পিন্টু, শিক্ষাবিদ মুজিবুর রহমান, সমাজ ও মানব কল্যাণ সংঘের মহাসচিব নুর আলম অহিদ, মশিউর রহমান প্রমুখ।
আয়োজকরা অভিযোগ করেন, ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। এটি জনদুর্ভোগ ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। গোদাগাড়ীতে বাসাবাড়ী ও দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পোস্ট-পেইড মিটার চালু থাকলেও সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রিপেইড মিটার। এতে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত বিলের বোঝা বাড়ছে। তাই অবিলম্বে এ ধরনের মিটার স্থাপন বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। জরিপ ছাড়া জোরপূর্বক গ্রাহকদের ওপর এই প্রিপেইড মিটার চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় গোদাগাড়ী উপজেলাবাসীকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবো।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আগে টাকা পরে বিদ্যুৎ এই নীতি মেনে নেবে না। এর ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, প্রিপেইড মিটারে মাঝে মধ্যে ভুতুড়ে বিল আসে। কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয় ব্যালেন্স না দেখা যাওয়া, রিচার্জ করার পরও ইউনিট না পাওয়া, সার্ভার সমস্যায় অকেজো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মিটার নষ্ট হলে বদলি হিসেবেও প্রিপেইড মিটার নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। রিচার্জ করার সময় অতিরিক্ত ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জ কাটা হচ্ছে। বয়স্ক ও অশিক্ষিতদের জন্য এ মিটার ব্যবহার জটিল হয়ে পড়েছে।
